logo ০৯ জুন ২০২৫
হিংসা নষ্ট করে আমল
ইসলাম ডেস্ক
০৩ এপ্রিল, ২০১৬ ১৫:৩৯:২৫
image



ঢাকা: অন্যের ভালো ও উন্নতি দেখে অন্তরে জ্বালা অনুভব করা এবং তা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিজের মধ্যে চলে আসার বাসনা করাই হিংসা। এটা ইসলামে ঘৃণিত। হিংসা অন্তরের মারাত্মক একটি ব্যাধি। কারো ভেতরে এই বাজে স্বভাবটি থাকলে জরুরি ভিত্তিতে আধ্যাত্মিক চিকিৎসা করাতে হবে। হিংসা আগুনের মতো। ভেতরে ভেতরে তা মানুষকে পুড়িয়ে ফেলে। কম-বেশি সবাই এই রোগে আক্রান্ত। এ জন্য ইসলামে এই ব্যাধি থেকে বেঁচে থাকার জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। কারো মধ্যে এই ব্যাধি থাকলে তা দূর করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। হিংসা মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য ক্ষতিকর।






যার ভেতরে হিংসা আছে সে সবসময় মানসিক পীড়ায় ভোগে। হিংসা শুধুই মানসিক ক্ষতিই করে না, এর প্রভাব স্বাস্থ্যেও পড়ে। রাসুল (সা.) হিংসা থেকে বেঁচে থাকার ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। মানুষ যখন নিজের নেয়ামতের কথা চিন্তা করে তখন আর পরেরটি নিয়ে ভাবার সুযোগ পায় না। এ জন্য মানুষকে বেশি বেশি আল্লাহর নেয়ামতের কথা চিন্তা করতে বলা হয়েছে। কোরানে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের মাঝে কাউকে কারো ওপর যেসব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন তোমরা ওইসবের আকাক্সক্ষা করো না।’






ইসলামে সবসময় নিজের চেয়ে ছোট যা সেদিকে নজর দেয়ার প্রতি তাগিদ দিয়েছে। দুনিয়ার সব কিছু আল্লাহর বণ্টন। তিনি যাকে যেমন খুশি দান করেছেন। অন্যের ভালো কিছু দেখে যতই হিংসার আগুনে দাউদাউ করে জ্বলুক, এতে আল্লাহর বন্টনের কোনো হেরফের হবে না। হিংসার পাশাপাশি আরেকটি বস্তু হচ্ছে ঈর্ষা। অন্যের কোনো গুণ তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নয়, স্বতন্ত্রভাবে কারো মধ্যে আসার কামনা করাকে ঈর্ষা বলে। এটাকে হাদিসে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। কারো মধ্যে দীনদারি ও ইলমের গুণ থাকলে নিজেও তা কামনা করা যেতে পারে। তবে শুধুই পরকালীন বিষয়ে ঈর্ষা করা যাবে। পার্থিব কোনো বিষয়ে ঈর্ষা করলে তা হিংসায় রূপ নেয়ার আশঙ্কা থাকে।






যাদের মধ্যে হিংসা নামক ব্যাধি আছে, তাদের উচিত এর আধ্যাত্মিক চিকিৎসা করানো। কোনো আধ্যাত্মিক চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র আনা। যার মনের ভেতরে হিংসা বাসা বেঁধে আছে তার ইবাদত-বন্দেগি ত্রুটিপূর্ণ থেকে যায়। এ জন্য সবার উচিত হিংসা থেকে বেঁচে থাকা।






(ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/জেবি)