হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ধাপ্পাবাজি!
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১৩ মে, ২০১৬ ১৮:৪৮:২৬

ঢাকা: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে সরাসরি ‘ধাপ্পাবাজি বা জালিয়াতি’ বলে উল্লেখ করেছেন দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি(এসিএস)। শুধু তাই নয়, তাদের দাবি, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিতে পারে।
এএসসি ইউটিউবের রিঅ্যাকশন চ্যানেলে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে বলা হয়েছে, হোমিওপ্যাথিকের ওষুধ মান্ধাতা আমলের ধারণার ওপর প্রতিষ্ঠিত। ডা: স্যামুয়েল হ্যানিম্যান এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তক। যিনি ১৭৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
ভিডিওটিতে বলা হয়, মনে রাখতে হবে হ্যানিমেনের যুগ ছিল পরমাণুর এবং অনুর পদার্থের মৌলিক ইউনিটের যুগ। এরপর তা আর এগোয়নি। তাই হয়তো তিনি জানতে পারেননি, এটির কার্যকারিতা হারানোর আগ পর্যন্ত আপনি কোনো কিছু তরলীকরণ করতে পারবেন না। আমরা আজ পুরোপুরিই এই ব্যাপারটি জানি। কিন্তু হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ওষুধের তরলীকরণ নীতিতে বিশ্বাস করে। তাদের দাবি, পানির সঙ্গে কি দ্রবণ মিশ্রিত হচ্ছে তা তারা বুঝতে পারে। যেসব রোগীর মধ্যে অণুর অনুপস্থিতি রয়েছে এর প্রভাব স্থানান্তরিত করে। তবে এটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বার বার হয় না। এই ঘটনা এর বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ। আসলে হোমিওপ্যাথির মৌলিক ধারণা হচ্ছে ধাপ্পাবাজি। হোমিওপ্যাথির ওষুধ হচ্ছে ‘ক্ষতিহীন অর্থের অপচয়’।
গত বছর, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল হেলথ এবং মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল ১৭৬টি হোমিওপ্যাথ চিকিৎসার তথ্য পর্যালোচনা করেন।এর মধ্যে তারা ৬৮টি ভিন্ন স্বাস্থ্যগত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে হোমিওপ্যাথ চিকিৎসার কার্যকারিতার কোনো প্রমাণ পাননি।
ব্রিটিশ হোমিওপ্যাথি অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টাল সামনার বলেন, হোমিওপ্যাথ চিকিৎসাকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য এই ভিডিওতে মূল তথ্যগুলো বাদ দেয়া হয়েছে। এটি কাজ করে বলেই পুরো বিশ্বে এই চিকিৎসা পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো বিশ্বের ২০ কোটি মানুষের ভুল হতে পারে না। আমি সবাইকে উৎসাহিত করব, আপনারা হোমিওপ্যাথ চিকিৎসা করে দেখুন। তারপর নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিন। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।
(ঢাকাটাইমস/১৩মে/এসআই)