logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
রিজার্ভ চুরি: সেই মায়া সান্তোস দেগুইত গ্রেপ্তার
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১৭ আগস্ট, ২০১৬ ২১:৫৮:৩৯
image



ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি শহরের জুপিটার স্ট্রিট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতকে।






আজ বুধবার দেশটির রাজধানী ম্যানিলার একটি সুপারমার্কেট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।






বাংলাদেশ ব্যাংকের রির্জাভ চুরির ঘটনায় জড়িত হ্যাকারদের আইনের আওতায় আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক, ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক এবং সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন (সুইফট) একমত হওয়ার একদিন পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হলো।






গত ১৬ আগস্ট নিউইয়র্কে একটি বৈঠকে এই তিন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এর পরই এই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটলো।






বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির পর তার শাখার মাধ্যমেই সব অর্থ পাচার হয়। এর আগে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির শুনানিতেও তিনি এই বিপুল অংকের অর্থ তার ব্যাংক শাখার মাধ্যমে সরিয়ে ফেলার কথা স্বীকার করলেও তিনি উপরের নির্দেশ পালন করার কথা বলেছেন।এছাড়া ভুয়া কাজগপত্র দেখিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার ব্যাপারেও তার সরাসরি সহযোগিতা ছিল।



বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া অর্থ পাচারের ঘটনায় ব্যাংকের নিয়ম-নীতিমালা ভঙ্গ ও ভুয়া নথি তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে একটি মামলা করেন আরসিবিসি সাবেক প্রেসিডেন্ট লরেঞ্জ তান। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মায়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে আজই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।



এর আগে এই অভিযোগে গত মার্চ মাসে আরসিবিসির মাকাতি শহরের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস দেগুইতো ও সহকারী ব্যবস্থাপক অ্যাঞ্জেলা তোরেসকে বরখাস্ত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।









কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ফেড ও সুইফটের মধ্যে সমঝোতা






বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঘটে যাওয়া সাইবার জালিয়াতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, নিউইয়র্ক ফেড এবং সুইফ্ট এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৬ আগস্ট নিউইয়র্কে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ত্রিপক্ষীয় এই বৈঠকে  বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ হ্যাকিং সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত বিষয়, এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, ইতোমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নিয়ে আলোচনা হয়। ভবিষ্যতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে এ ধরনের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সবার একযোগে কাজ করার কথাও উঠে আসে এই বৈঠকে।






বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসানের নেতৃত্বে গত রবিবার রাতে প্রতিনিধিদলটি দেশ ছাড়েন। তারা ফিরবেন ২২ আগস্ট। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, ইনফরমেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক দেবদুলাল রায়, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক জাকের হোসেন ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক আবদুর রব।









(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এআর/ ঘ.)