আদালতে রিশা হত্যার দায় স্বীকার ওবায়দুলের
আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:৩৬:৫০

রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলায় ‘ঘাতক’ ওবায়দুল হক এবং এক চাকু বিক্রেতার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আসান হাবিব তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। স্বীকারোক্তির পর আদালত ওবায়দুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
ঘাতক ওবায়দুল মঞ্জুর হওয়া ছয় দিন রিমান্ডের চার দিন রিমান্ড শেষে দোষ স্বীকার করে ওই জবানবন্দি দেন।
অন্যদিকে চাকু বিক্রেতা মোহাম্মাদ হোসেন সাক্ষী হিসেবে মামলাটিতে ওই জবানবন্দি দেন। আসামি ওবায়দুল তার কাছ থেকেই হত্যায় ব্যবহৃত চাকু কিনেছিলেন। ওই সম্পর্কেই তিনি সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর ওবায়দুলের ছয় দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। তবে চার দিন রিমান্ড শেষ হওয়ার পর তিনি দোষ স্বীকার করতে রাজি হওয়ায় সোমবার তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার ইন্সপেক্টর মো. আলী হোসেন।
মামলায় বলা হয়, আসামি ওবায়দুল হক প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন সময় রিশাকে উত্ত্যক্ত করতেন। কিন্তু রিশা তাতে রাজি না হওয়ায় রিশা ও তার সহপাঠী মুহতারিফ রহমান রাফিকে নিয়ে গত ২৪ আগস্ট বেলা সোয়া ১২টার দিকে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে যাওয়ার পথে স্কুল সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের উপরে পৌঁছালে আসামি ওবায়দুল রিশাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাম হাতে ও পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। পরে গত ২৮ আগস্ট রিশা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
ঘটনার পর থেকে ওবায়দুল পলাতক ছিলেন। তাকে গত ৩১ আগস্ট নীলফামারীর ডেমরা থানার সোনারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছুরিকাঘাতের দিনই রিশার মা তানিয়া রাজধানীর রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৩২৪/৩২৬/৩০৭ ধারায় হত্যাচেষ্টা ও গুরুতর আঘাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন। রিশা নিহত হওয়ার পর মামলাটি হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধারা সংযোজন করা হয়।
নিহত রিশা রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিদ্দিক বাজার এলাকার রমজান হোসেনের মেয়ে। অন্যদিকে ওবায়দুল দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মীরাটঙ্গী গ্রামের মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। তিনি রাজধানীর ইস্টার্ন মল্লিকা শপিংমলের বৈশাখী টেইলাসের কর্মচারী ছিলেন।
সূত্র জানায়, প্রায় ছয় মাস আগে বৈশাখী টেইলাসের স্কুলের ড্রেস বানাতে রিশা মায়ের সঙ্গে গিয়েছিল। সেখানে দেয়া মোবাইল নম্বর পেয়ে রিশাকে উত্ত্যক্ত শুরু করে ওবায়দুল।
(ঢাকাটাইমস/০৫সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)