logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা
পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপিতে বিচারপতিদের সই
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:১৮:২৫
image



গাজীপুরের শ্রমিক নেতা ও আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপিতে সই করেছেন দুই বিচারপতি।






বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ রায়ে সই দেন। হাইকোর্টের এ বেঞ্চ ১৫ জুন মামলার সংক্ষিপ্ত রায় দেন।






গত ১৫ জুন আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। রায়ে খালাস দেয়া হয় ১১ আসামিকে।






হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- নুরুল ইসলাম সরকার, নুরুল ইসলাম দিপু, মাহবুবুর রহমান, কানা হাফিজ, সোহাগ, শহিদুল ইসলাম শিপু।






যাবজ্জীবন পাওয়া আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ আহমদ হোসেন মজনু, আনোয়ার হোসেন আনু, বড় রতন, ছোট জাহাঙ্গীর, আব্দুস সালাম, মশিউর মিশু।






হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর ওরফে বড় জাহাঙ্গীর, ফয়সাল (পলাতক), লোকমান হোসেন ওরফে বুলু, রনি মিয়া ওরফে রনি ফকির (পলাতক), খোকন (পলাতক), দুলাল মিয়া, রাকিব উদ্দিন সরকার ওরফে পাপ্পু, আইয়ুব আলী, জাহাঙ্গীর (পিতা মেহের আলী) ও মনির।






২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসানউল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় ওমর ফারুক রতন নামে আরও একজন খুন হন।






আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে টঙ্গী থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাজীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।






ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১০ জুলাই ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। একই বছরের ২৮ অক্টোবর ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ৩৪ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন সাক্ষ্য দেন।






এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপি নেতা নূরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান অন্য দুজন।






(ঢাকাটাইমস/১ সেপ্টেম্বর/ এমএবি/এমআর)