মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের রায় ৯ নভেম্বর
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৩:০১:৩৯

বিদেশে অর্থপাচারের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান এবং ছেলে ফয়সাল মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের রায় দেয়া হবে ৯ নভেম্বর।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
মামলাটি থেকে তিনজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিম্ন আদালতের গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল দুদক।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। মোরশেদ খানের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।
খুরশিদ আলম খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, দুদকের করার আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৯ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন রেখেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন মোর্শেদ খান, তার স্ত্রী নাসরিন খান ও ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খানের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় ২০১৫ সালের জুলাই দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদনের বলা হয়, ওই ঘটনায় কোনো মানি লন্ডারিং ‘হয়নি’। ১৫ এপ্রিল চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি বিচারিক আদালত গ্রহণ করলে মোর্শেদ খান, নাসরিন খান ও ফয়সাল মোর্শেদ খান অভিযোগ থেকে অব্যহতি পান।
জানা গেছে, হংকংয়ের স্ট্যান্ডার্ড চার্টাড ব্যাংকের ওই হিসাবটি ২০০৮ সাল থেকে এক প্রশাসনিক আদেশে জব্দ করে রাখে হংকংয়ের পুলিশ। এরপর তারা বাংলাদেশে চিঠি দিয়ে জানায়, নতুন কোনো পদক্ষেপ না থাকলে ওই অ্যাকাউন্ট তারা খুলে দেবে। এ অবস্থায় দুদক মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয় এবং পুনঃতদন্তের জন্য বিচারিক আদালতের কাছে অনুমতি চায়।
ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ২ জুন দুটি আবেদনই খারিজ করে দেয়। নিম্ন আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী মোরশেদ খানের প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট টেলিকম লিমিটেডের মাধ্যমে মোট ১১টি বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে ৩২১ কোটি সাত লাখ ৫৩ হাজার ৩৫৯ টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন। মোরশেদ খান বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে এ অর্থ পাচার করেন। দুদক বিভিন্ন ব্যাংকে ফারইস্ট টেলিকমের নামে চারটি এফডি হিসাব, একটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড হিসাব, একটি ইউএসডি কারেন্ট হিসাব ও একটি ইউএসডি সেভিংস হিসাব খুঁজে পায়। এছাড়া স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে মোরশেদ খানের নামে একটি ইউএসডি সেভিংস ও একটি হংকং ডলার সেভিংস হিসাব এবং ওই ব্যাংকে ছেলে ফয়সালের নামে একটি ইউএসডি সেভিংস ও একটি হংকং ডলার সেভিংস হিসাবে এসব অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পায়।
(ঢাকাটাইমস/১সেপ্টেম্বর/এমএবি/এমআর)