logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
সিটিসেল গ্রাহকদের অপারেটর পরিবর্তনের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৫:০৩:৫৭
image



দেশের প্রথম মোবাইল কোম্পানি সিটিসেল গ্রাহকদের অপারেটর পরিবর্তন করতে বিটিআরসির দেয়া দুটি বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই দুই বিজ্ঞপ্তিকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানাতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত। সিটিসেলের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।






সিটিসেলের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।






গত ৩১ জুলাই ও ১৭ আগস্ট সিটিসেলের গ্রাহকদের অপরারেট পরিবর্তনে দুটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি দেয় বিটিআরসি। পরে এই বিজ্ঞপ্তি স্থগিত চেয়ে রিট আবেদন করেন সিটিসেল কর্তৃপক্ষ।






মোস্তাফিজুর রহমান খান জানান, ‘টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট অনুসারে বিটিআরসি এ ধরনের গণবিজ্ঞপ্তি দিতে পারে না বলে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। তাদের সেই এখতিয়ার নেই’।






তিনি বলেন, বিটিআরসির দেয়া বিজ্ঞপ্তির দিন সিটিসেলের লাইসেন্স ছিল। লাইসেন্স থাকার পরও কার্যক্রম চলা একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকদের অপারেটর পরিবর্তনে তারা এ ধরনের  বিজ্ঞপ্তি দিতে পারে না। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে বিজ্ঞপ্তি দুটি স্থগিত করে রুল দিয়েছে। ওই দুই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।






গত ২২ আগস্ট সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল বা এর কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সিটিসেলের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের একক বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।






গত ৩১ জুলাই বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিটিসেলের গ্রাহকদের ১৬ আগস্টের মধ্যে বিকল্প সেবা বা ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে সিটিসেল গ্রাহকদের জানানো হয়, এই মোবাইল অপারেটরের কাছে সরকারের প্রায় ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা রাজস্ব বকেয়া রয়েছে। লাইসেন্স নবায়নের পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে কমিশন থেকে সিটিসেলকে বকেয়া রাজস্ব জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং সিটিসেলের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এরপরও সিটিসেল বিভিন্ন সময়ে বকেয়া অর্থ পরিশোধের অঙ্গীকার করলেও তা বকেয়া পরিশোধ করেনি। সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব পরিশোধ না করে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া লাইসেন্সের শর্তাবলির পরিপন্থী এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১-এর বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ অবস্থায় বিটিআরসি সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করার এখতিয়ার রাখে। কাজেই বিটিআরসি যেকোনো সময় সিটিসেলের তরঙ্গ বরাদ্দ বাতিল এবং অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।






এরপর গত ৩ আগস্ট বিটিআরসির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, সিটিসেলের কর্মকর্তারা কিছু প্রস্তাব রেখেছেন। সেসব প্রস্তাব বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকারই সিটিসেল বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ওই দিন বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ১ আগস্ট সিটিসেল বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু গ্রাহকদের কথা ভেবে তাদের অপারেটর বদলের সুযোগ দেওয়ার জন্য ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এরপর সিটিসেলের গ্রাহকদের অপারেটর পরিবর্তনের জন্য আরো সাত দিন সময় বাড়ানো হয়।






(ঢাকাটাইমস/৮ সেপ্টেম্বর/ এমএবি/এমআর)