ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে জঙ্গি সংগঠন নিউ জেএমবি সদস্য অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই দম্পতিকে গ্রেপ্তারের সময় নিয়ে দুই ধরনের দাবি পাওয়া যাচ্ছে। র্যাবের দাবি, এদেরকে গত বুধবার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করা হয়। তবে আদালতে দুই দম্পতিই দাবি করেছেন, তাদেরকে ধরা হয়েছে আড়াই মাস আগে।
দুই দম্পতিকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরে দুই দম্পতিকে আদালত হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মুন্সী ছাব্বীর আহম্মদ। শুনানি শেষে মো. শরীফুল ইসলাম ওরফে সুলতান মাহমুদ ও আমিনুল ইসলামের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর মারজিয়া আক্তার ওরফে সুমি এবং নাহিদা সুলতানার পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেয়া আসামিদের মধ্যে শরীফুল ও সুমি এবং আমিনুল ও নাহিদা সুলতানা স্বামী-স্ত্রী।
রিমান্ড শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী না থাকায় বিচারক রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে আসামিদের বক্তব্য জানতে চান। এ সময় আসামি আমিনুল বলেন, ‘আমাদের আড়াই মাস আগে আটক করা হয়েছিল। পরে আমাদের অনেক নির্যাতনও করা হয়। আমরা কিছুই জানি না।’
তবে র্যাব দাবি করেছিল, আটক দুই দম্পতি নব্য জেএমবির সদস্য বলে স্বীকার করেছিল। দেশে বসেই তারা তাদের কার্যক্রম চালাতেন। তবে প্রতিকূল অবস্থা দেখলে তারা বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তারা পাকিস্তানে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে ভিসা ও পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। এমন তথ্যেও ভিত্তিতেই রাজধানীর ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের সামনে থেকে সুমি ও শরীফুল দম্পতি এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আমিনুল ও নাহিদ সুলতানা দম্পতিকে আটক করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/৮সেপ্টেম্বর/আরজে/এমআর)