ঢাকা: বর্তমান সময় পৃথিবীজুড়ে প্রযুক্তির ছড়াছড়ি। প্রযুক্তির হাত ধরে বিশ্ব যখন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক একই সময়ে যুব সমাজের একটি অংশ হতাশাপূর্ণ জীবন-যাপন করছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণরা নিয়মিত পর্ণোগ্রাফি দেখার ফলে বিছানায় বিষণ্ন বোধ করে। এমনকি তারা তাদের স্ত্রীদের সাথে তারা স্বাভাবিক যৌন আচরণ করতে পারেনা।
ভারত ভিত্তিক গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এর প্রতিবেদন অনুযায়ী- মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ ও হাসি কান্না অনুভুতির জন্য ডোপাইন নামের একটি হরমোন কাজ করে। অতিরিক্ত পর্ণোগ্রাফি দেখার ফলে এই হরমোনে সমস্যা দেখা দেয়। একারণে অনেকে মানসিক বিষণ্নতায় ভোগে। অনেককে আবার মনোবিজ্ঞানীদের শরণাপণ্নও হতে হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩১ বছর বয়সী এক যুবক ও আইটি বিশেষজ্ঞ অভিনব ভর্মা অনলাইনে নিয়মিত পর্ণোগ্রাফি দেখত। একপর্যায়ে এর প্রতি তিনি আসক্ত হয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি বিয়ে করেন। কিন্তু তিনি তার স্ত্রীর সাথে স্বাভাবিক যৌন আচরণ করতে পারেনা। স্ত্রীর সাথে যৌন মিলনের চেয়ে তার পর্ণোগ্রাফি দেখতে বেশি ভাল লাগে।
সেক্সোলোজিস্ট ড. দীপক জুমানি এক গবেষণায় দেখেছেন, বর্তমানে অনলাইনের পর্ণোগ্রাফির ছড়াছড়ি হওয়ায় যুব সমাজ তার প্রতি অতিরিক্ত মাত্রায় ঝুঁকে পড়ছে। এ কারণে অনেকে স্বাভাবিক যৌনাচার পছন্দ করতে চাননা। তারা অবৈধভাবে সেক্সের আনন্দ নিতে পছন্দ করে।
আরেকজন সেক্সোলোজিস্ট ধনঞ্জয় গ্যাম্ভায়ার বলেন, পর্ণোগ্রাফিতে যে ধরনের যৌনাচার দেখানো হয় তা স্বাভাবিক কোন যৌনাচার নয়। এটি নারীদের প্রতি জোর বা বলপ্রয়োগ করে যৌন আনন্দ নেয়ার প্রচেষ্টা।
তিনি আরো বলেন, এই পর্ণোগ্রাফির ফলে মানুষের নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় হচ্ছে। তাছাড়া এটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি ঘটাচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২২ জানুয়ারি/এসইউএল)