logo ১৯ মে ২০২৫
তুরাগ তীরে জুমা পড়লেন লাখো মুসল্লি
শাহজাহান শোভন, টঙ্গী থেকে
২৪ জানুয়ারি, ২০১৪ ০০:০৩:২১
image

ঢাকা: টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম দফার বিশ্ব ইজতেমা চলছে। দুপুরে ইজতেমা মাঠে জুমার নামাজ আদায় করেছেন লাখো মুসল্লি।এরআগে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ময়দানের ছামিয়ানার নিচে জমায়েত হওয়া লাখো মুসল্লিদের উদ্দেশে অনানুষ্ঠানিক বয়ান শুরু হয়। বৃহস্পতিবার ভীড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুই জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।


শুক্রবার সকাল ১১টায় বয়ানে অংশ নেন মাওলানা মুকিব। তিনি ইজতেমার দিক-নির্দেশনামূলক বয়ান করেছেন। বিদেশি বিভিন্ন ভাষা-ভাষী মেহমানদের জন্য বাংলা ছাড়াও ইংরেজি ও উর্দুসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় তাৎক্ষণিক ভাষান্তর করে বয়ান শুনানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।


এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা মাঠে অবস্থান করছেন। মুসল্লিরা নিজ নিজ জেলার খিত্তা ও হাল্কা অনুযায়ী নিজেদের বসার স্থান করে নিচ্ছেন।


অপরদিকে বিদেশি মেহমানরা ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে তাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি তাবুতে অবস্থান নিচ্ছেন। গতকাল পর্ষন্ত প্রায় ৩০ হাজার বিদেশি মেহমান বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন। তাদের আসা অব্যাহত রয়েছে। বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সুপেয় ঠাণ্ডা ও গরম পানি এবং রান্নার জন্য গ্যাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। গতকাল ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, সুধান, নাইজেরিয়া, আফ্রিকা, মালয়েশিয়া, ইয়েমেন, ইন্দোনেশিয়া, সোমালিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ আফ্রিকা, মায়ানমার, চাঁদ, লিবিয়া, ইতালি, ইরান, ইরাক, কুয়েত, কাতার ও সৌদি আরবসহ বিশ্বের প্রায় ১৩০টি দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিয়েছেন।



দুজনের মৃত্যু: বৃহস্পতিবার রাত থেকে এ পর্যন্ত দুজন মুসল্লি মারা গেছেন। তাঁরা হলেন ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার উত্তর রামেরকান্দা গ্রামের ওমর আলী (৪৮) ও অপরজন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানা মধ্য মেতোয়ালী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ প্রামাণিক (৭০)।


ইজতেমা আয়োজক কমিটি জানায়, বৃহস্পতিবার রাত দুটা থেকে তিনটার মধ্যে এ দুজন ব্যক্তি হৃদরোগে  আক্রান্ত হন। তাঁদের টঙ্গী সরকারি সরকারি নেওয়ার পথে আব্দুল মজিদ মারা যান। ওমর আলীকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।



দিল্লি থেকে ঢাকা এবং ইজতেমার ১০৪ বছর


তাবলীগ প্রথম চালু হয় ১৯১০ সালে ভারতের মেয়া নামক স্থানে। দ্বীনি বুজুর্গ হযরত মাওলানা ইলিয়াস (আ:) এর প্রবর্তক ও উদ্যোক্তা। তিনি প্রথম সাত জন অনুসারী নিয়ে অজপাড়াগাঁ মাওয়াতে এর কার্যক্রমের সূচনা করেন। পরে তাবলীগ অনুসারীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। মাওলানা ইলিয়াস (আ:) মৃত্যুর পর তার ছেলে হযরত মাওলানা ইউনুস ১৯৪৪ সালে তাবলীগের আমির নিযুক্ত হন।


এদেশে প্রথম ইজতেমা শুরু হয় ১৯৪৬ সালে ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদে। এরপর থেকে দিন দিন এর প্রসার আরো বৃদ্ধি পেতে পেতে বর্তমান অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। এটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম সমাবেশ। ১৯৬২ ও ১৯৬৩ সালে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে। তারপর ঢাকার ডেমরা ও নারায়ণগঞ্জে। ১৯৬৪, ১৯৬৫ ও ১৯৬৬ সালে অনুষ্ঠিত হয় টঙ্গীর পাগাড় এলাকায়। এখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ১৯৬৭ সালে কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদের তীরে অর্থাৎ বর্তমান স্থানে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৭ সালে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইজতেমায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশসহ দেশের কয়েক লাখ লোকের সমাগম ঘটে। আর তখন থেকেই এর নাম হয় বিশ্ব ইজতেমা।


ইজতেমা ময়দানে আজ বৃহত্তম জুমার নামাজ


শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জুমার নামাজে অংশ নিতে গাজীপুরসহ আশপাশের জেলার কয়েক লাখ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হবেন। টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ১৬০ একর এলাকাজুড়ে নির্মিত চটের প্যান্ডেল এরই মধ্যে মুসল্লিদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। মুসল্লিদের টঙ্গীতে আসা অব্যাহত রয়েছে। আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের টঙ্গীতে আসা অব্যাহত থাকবে।


বিশ্ব ইজতেমা চলাকালীন টঙ্গীতে বৈদ্যুতিক কোনো লোডশেডিং না দেয়ার নিশ্চিতা দেয়া হয়েছে। বুজুর্গ মুরুব্বিদের বয়ান শোনার সুবিধার্থে কয়েক হাজার মাইক লাগানো হয়েছে। বিদেশি মুসল্লিদের বয়ান বুঝার সুবিধার্থে উর্দু ও হিন্দি ভাষার বয়ান বাংলাসহ ১৫টি ভাষায় তাৎক্ষণিক তরজমা করার সুবিধা রাখা হয়েছে।


ভ্রাম্যমাণ আদালত:


ভেজাল প্রতিরোধ ও হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে বিশুদ্ধ খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে দুই শিপটে ছয়টি মোবাইল কোর্ট পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছে। গতকাল প্রথম শিপটে ভেজাল খাবার পরিবেশন করায় নয় হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।


গাজীপুর সিভিল সার্জন বলেন, ‘গতকাল টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে সিভিল সার্জনের উদ্যোগে টঙ্গীর হোটেল ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় হোটেল ব্যবসায়ীদের মানসম্মত খাবার পরিবেশনের নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশ অমান্যকারীদের জেল-জরিমানা হতে পারে। গত বৃহস্পতিবার থেকে মোবাইল কোটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের কাজ অব্যাহত থাকবে।’


মুসল্লিদের ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র:


বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ওষুধ কারখানা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের ফ্রি চিকিৎসা ও ওষুধপত্র বিতরণ করবে। হার্মদদ (ওয়াকফ) লিমিটেড, ইবনে সিনা, র‌্যাব-১, গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ইমাম সমিতি, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, টঙ্গী ওষুধ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি, আয়ুর্বেদী মেডিকেল ও জনকল্যাণ মেডিকেল অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করেছে। এসব চিকিৎসা কেন্দ্রে  গতকাল পর্যন্ত কয়েক হাজার মুসল্লির চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।


এ বছরই প্রত্যেক ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্রে ন্যূনতম এমবিবিএস ডাক্তার রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ঢাকা জেলা ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন লাখো লাখো মুসল্লির নিরাপত্তা দিতে পাঁচ স্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে পাঁচ হাজার পুলিশ সদস্যের সঙ্গে র‌্যাব, আনসার ও সাদা পোশাকের সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এরই মধ্যে গতকাল বিকাল পর্যন্ত ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলা থেকে সাড়ে চার হাজার পুলিশ সদস্য টঙ্গীতে এসে টেশিস ময়দানসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও প্রতিষ্ঠানসমূহে অবস্থান নিয়েছেন। তারা এসব স্থান থেকে গিয়ে বিশ্ব ইজতেমার মুসল্লিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।


টয়লেট ব্যবহার:


বিদেশি মুসল্লিদের জন্য গত বছর ৩২শ’ পাকা টয়লেট ছিল। এবছর একটি পাকা দ্বিতল গোসলখানা ছাড়াও চার হাজার পাকা টয়লেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ এবছর একই সঙ্গে চার হাজার বিদেশি মেহমান স্বাস্থ্যসম্মত পাকা টয়লেট ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে টয়লেট ব্যবহারের জন্য আগের মতো লাইন ধরে অপেক্ষা করতে হবে না বলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা আশা করছেন। ময়দানের বিভিন্ন প্রান্তে আটটি দ্বিতল টয়লেট ভবনে দুই হাজার নয়শ’ ৩৮ জনের একসঙ্গে টয়লেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। তবে তাবলীগ জামাতের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ময়দানের চারপাশে নির্ধারিত স্থানে বহুসংখ্যক অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। সে সঙ্গে রয়েছে অজু ও গোসলখানা।


ইজতেমায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি উৎপাদক নলকূপের মাধ্যমে সাড়ে ১২ কিলোমিটার পাইপলাইন দিয়ে পুরো ময়দান এলাকায় দৈনিক ৭০ লাখ গ্যালন পানি সরবরাহ করা হবে।


গাড়ি পার্কিং:


বিশ্ব ইজতেমায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, টঙ্গী সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি অ্যান্ড কলেজ মাঠ, উত্তরার আজমপুর স্কুল মাঠ ও কামারপাড়ায় রানাভোলা মাঠে গাড়ি পার্কিং এর সুব্যবস্থা করা হয়েছে। 


ইজতেমা ময়দানে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প উদ্বোধনঃ ইজতেমা ময়দানে প্রায় ৪০টি ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প খোলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে হামদর্দ আয়োজিত ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।


এসময় তার সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, র‌্যাবের ডিজি মোখলেছুর রহমান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক মো. নূরুল ইসলাম ও টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


ক্যাম্প উদ্বোধনের সময় মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখো লাখো মুসল্লির স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই। ইসলামের খেদমতে যারা জানমাল কুরবান করে আল্লাহর রাস্তায় বের হন তাদের খেদমতে হামদর্দ ও গাজীপুর জেলা জাতীয় ইমাম সমিতি ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন যারা চিকিৎসা সেবা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।’


পরে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। ইজতেমার মুরুব্বিদের সঙ্গে কুশল বিনিময়সহ ইজতেমা সম্পর্কে খোঁজ নেন তিনি।


বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে এক বাণীতে বলেছেন, ‘বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং বিশ্বের সব মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।’


তিনি বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে এ বিশ্ব ইজতেমা ইসলামের মর্মবাণী প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ইজতেমায় আগত বিদেশি মেহমানদের মাধ্যমে আমাদের লালিত অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অকৃত্রিম সরলতা ও অতিথি পরায়ণতা এবং সহিষ্ণুতার আলোকবার্তা বিশ্ব দরবারে পৌঁছে যাবে।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, এ মহান ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা রাখবে। দেশ ও বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে।’ 


তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি ও কল্যাণ এবং দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। আমি বিশ্ব ইজতেমার সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।’


বিএনপি চেয়ারপারসনের বাণী


বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।’


তিনি বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারও টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা-বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের অগণিত ধর্মপ্রাণ মানুষের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তির জন্য বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব থেকে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে ঢাকার তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে। মহান আল্লাহর নামে মুখরিত হয়ে উঠে ইজতেমা ময়দান।’


খালেদা জিয়া বলেন, ‘মোমিন-মুসলমানদের এই ধর্মীয় জমায়েত উপলক্ষে আমি আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি, বিশ্বের সব মানুষ যেন সংঘাত ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে সুখি ও আনন্দময় জীবন যাপন করতে পারে।’


(ঢাকাটাইমস/২৪ জানুয়ারি/এজে)