ঢাকা: বিস্ময়কর পৃথিবীতে অবাক হওয়ার মতো কতো কিছুই না ঘটে। নিজেকে সুন্দর করে তুলতে অন্য সবার থেকে একটু আলাদা করে দেখানোর জন্যে আমাদের পরিশ্রমের অন্ত নেই। সেজন্যে শরীরে বেদনাদায়ক ট্যাটু আকাঁও ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সারা শরীরে ট্যাটু একেঁ নিজেকে ব্যতিক্রমী সাজে সাজিয়েছেন ব্রিটেনের ফ্রান অ্যাটকিনসন। টানা তিনবছর ধরে শরীরে একের পর এক বেদনাদায়ক অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্থায়ী রূপ দিয়েছেন ট্যাটুগুলোর। কিন্তু এতো সাধ্য-সাধনা করে সাজ কি শুধু অপরকে দেখানোর জন্যেই! ফ্রান একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।
ফ্রান শরীরে এসব ট্যাটু আঁকতে ৪১৬ ঘন্টা ব্যয় করেছেন। তবে তিনি কখনোই শখের এই ট্যাটুগুলো দেখতে পাবেন না।
ফ্রান জানান, ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতার কারনে আমি কখনোই জানবো না, যে আমাকে দেখতে কেমন দেখাচ্ছে। তবে ট্যাটু অঙ্কন শিল্পী এবং আমার স্বামী ট্যাটুগুলোর রং ও কেমন দেখাচ্ছে সে সম্পর্কে বলেছেন।’
ফ্রানের সম্পূর্ণ শরীর ট্যাটু দিতে ঢাকতে মোট ৪১৬ ঘন্টা সময় লেগেছে।
ফ্রানের মা বলেন, ‘যদিও ফ্রান অন্ধ, তবে ওর স্বামী রয় এবং ট্যাটু অঙ্কন শিল্পী গ্রেজ বোম্যান ফ্রানের দৃষ্টির মতোই কাজ করেছে। তারা ট্যাটুর রং, কি আঁকা হচ্ছে, কেমন দেখাচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ে সমস্ত ধারণা দিয়েছে ফ্রানকে’।
ফ্রান এখন স্বপ্ন দেখছে গিনিজ বুকে নাম লেখানোর। কারন, ট্যাটু শিল্পী বোম্যানের ভাষ্য মতে, ফ্রানই বিশ্বের প্রথম মহিলা যে শরীরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ট্যাটু অঙ্কন করেছেন।
৫২ বছর বয়সী ফ্রানের দৃষ্টি শক্তি জন্মের পর থেকেই ক্ষীন। তবে ট্যাটু আঁকতে গিয়ে বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের তার চোখ দুটি আরও অকেজো হয়ে পড়ে। কিশোরী বয়স থেকেই দৃষ্টি শক্তি কমতে থাকে ফ্রানের। কিন্তু শৈশব থেকেই সারা শরীরকে রঙ্গিন করে তোলার এক অদ্ভূত নেশা ছিলো ফ্রানের।
ফ্রান বলেন, ‘২৫ বছর বয়সে আমি সর্বপ্রথম একটি স্থায়ী ট্যাটু অঙ্কন করি।’
(ঢাকাটাইমস/৬ফেব্রুয়ারি/জেএস)