মুহাম্মদ বশির উল্লাহ: মিরাজ শব্দটি আরবি। অর্থ ঊর্ধ্বে উঠার সিঁড়ি বা বাহন। ইসলামী পরিভাষায়, এবিশ্ব সভার সভাপতি, দোজাহানের মহাসম্মানিত সম্রাট, সুলতানে মদিনা, মহান আরশে আজিমের সম্মানিত মেহমান, নবীকুলের সর্দার, নিখিল বিশ্বের রহমত, সৃষ্টিকুলের মুক্তিদূত, আমাদের প্রিয় আকা, মাক্কা-মাদানি মুস্তফা, সমস্ত শ্রীমান ব্যক্তিদের সম্রাট, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (দ.)-এর পবিত্র হায়াতে তাইয়্যেবার ৫১ বছর ৯ মাস বয়সে ৬২১ ইসায়ী সনের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসে ১ লাখ ২৪ হাজার নবীর ইমাম হয়ে, ইমামুল মুরছালিন হয়ে, প্রথম আকাশ, দ্বিতীয় আকাশ, তৃতীয় আকাশ, চতুর্থ আকাশ, পঞ্চম আকাশ, ৬ষ্ঠ আকাশ, সপ্তম আকাশ, সিদরাতুল মুনতাহা, এরপর ৭০ হাজার নূরের পর্দা ভেদ করে আরশে আজীমের উপরে মহান আল্লাহ তা’আলার সাক্ষাতে হাজির হওয়ার ঐতিহাসিক অসাধারণ ঘটনাকে মিরাজ বলা হয়। এ বিস্ময়কর ঘটনা সস্পর্কে বিশ্ববাসী ওয়াকেফহাল। এ মিরাজের রজনীটিকে লাইলাতুল মিরাজ বা শব-ই-মিরাজ বলা হয়।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘পবিত্র সে আল্লাহপাক যিনি তার বান্দাকে রাত্রিকালে মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত নিয়ে গেছেন, যার চার পাশে আমি নাযিল করেছি অগণিত বরকত, যাতে করে আমার নিদর্শনাবলী প্রদর্শন করাতে পারি। কেননা, তিনিই সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা-বনি ইসরাইল: ১) এ পবিত্র মিরাজকে আমরা কোরআন, হাদিসের পাশাপাশি যুক্তির মাধ্যমেও দেখতে পারি।
মিরাজ সম্পর্কে এক দল লোকের ধারণা না বাচক, কারণ- অল্পক্ষণ সময়ের মধ্যে এত হাজার কোটি মাইলের পথ অতিক্রম করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আকাশের অগ্নিপিণ্ড বা উল্কাপি-কিভাবে অতিক্রম করবে। সেখানকার আবহাওয়া মানুষের জন্য অনুকূল নয়। একটি কারণ বা এ ধরনের আরও কারণ তাদের আছে। যার ফলে তারা মিরাজকে উদ্ভট ধরনের কাল্পনিক বলে আখ্যা দিচ্ছে। বর্তমান রকেট যুগে মেরাজের বৈধতার পক্ষে জোরালো ভাষায় কিছু বলার প্রয়োজন নেই। কারণ এক সময় প্রাচ্যের মানুষ হাওয়াই জাহাজ আবিষ্কার করার কথা শুনেছিলো, তখন সে কথা তাদের বোধগম্য হয়নি। বিশ্বাস করতে পারছিলো না। অনুরূপভাবে রেডিও আবিষ্কারের পরও এটা অবিশ্বাস করেছিলো।
এইতো, রাশিয়ার বৈমানিক জুড়ী গাগারিন ১৯৬১ সালের ১২ মার্চ সর্বপ্রথম রকেটে চরে আকাশ পরিভ্রমণ করে সারাবিশ্বে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আবার আমেরিকার নভোচারী নীল আমস্ট্রং এডউইন অলড্রিন এবং মাইকেল কলিন্স ১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই রকেটে চরে চাঁদে অবতরণ করে সেখান থেকে পাথরের নূড়ি কুড়িয়ে এনে সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছেন। কিন্তু অনেকেই বিশ্বাস করতে চায়নি। কারণ তাদের মতে চাঁদে মানুষ যাওয়া যায় না। কিন্তু বর্তমানে যে রকেট প্রতি মিনিটে কয়েকবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছে, সেখানে বোরাকের বর্ণিত গতি সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করা ভুল হবে। কারণ, রকেট হচ্ছে মানুষের তৈরি। মাঝপথে বিকেল হবার সম্ভাবনা আছে। বিকল হয়ে নষ্ট হয়েছে এমন প্রমাণও আছে। কারণ, মানুষের জ্ঞান, অসীম-নিখুঁত নয়। কিন্তু বোরাক তো সর্বশক্তিমান আল্লাহর সৃষ্টি বাহন। জান্নাতি বাহন। আল্লাহর জ্ঞান অসীম। তার কাজ কর্ম নিখুঁত। তাই বিকেল হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
পূর্ব দিগন্তে বিদ্যুৎ চমকে, পশ্চিম দিগন্তে গিয়ে পড়ে; এটা আমরা সব সময় দেখি। অথচ এর জন্য এক সেকেন্ড সময়ও লাগে না। এত সত্ত্বেও অল্পক্ষণ সময়ে এত হাজার কোটি মাইলের সফর করাটা অসম্ভব ব্যাপার বলে ধরে নেয়া হচ্ছে; এটা সত্যিই বিস্ময়কর কথা। বিশেষ করে রাসূল (সা.)-এর দেহ কাঠামো ছিলো নূরের। এ প্রসঙ্গে রাসূল (সা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি।’ রাসূল (সা.) যেহেতু আল্লাহর সৃষ্টি নূর। তাহলে আমরা এবার দেখবো, নূরের গতি কত দ্রুত। দেখা গেছে যে, আলো প্রতি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশী হাজার মাইল অতিক্রম করে। আর সেই নূরানী সত্তা প্রতি সেকেন্ডে কত লক্ষ মাইল অতিক্রম করতে সক্ষম; তাকে যদি আল্লাহপাক নিজ অনুগ্রহে আরও সাহায্য করেন, তা হলে তিনি কি রকম ক্ষিপ্র গতিতে পথ অতিক্রম করতে পারবেন, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
আগে বুঝতে হবে, নবী-রাসূলগণ তাঁদের নিজ নিজ নবুয়ত এবং রিসালতের যেসব প্রমাণ পেশ করেন, সে সব কার্যাবলী মানব ক্ষমতার বাইরে, সেসব এমনই অলৌকিক কাজ, যা সাধারণ মানুষ করতে পারে না। এগুলোকে শরীয়তের পরিভাষায় ‘মুজিযা’ বলে। যেমন হযরত মুসা (আ.)-এর লাঠি। এটা যখন ছেড়ে দিতেন, বিরাট অজগর সাপে পরিণত হতো। হযরত সোলাইমান (আ.)-এর সিংহাসন, তাতে আরোহণ করে, তিনি প্রতিদিন সকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করতেন। আমাদের প্রিয় নবী (সা.) আঙ্গুলের ঈশারায় চাঁদকে দু’ভাগ করেছিলেন। আরও অসংখ্য মুজিযা ইতিহাসের পাতায় বিদ্যমান। যা তারা করে দেখিয়েছেন, যা সাধারণ মানুষ করতে সক্ষম নয়। এসব ছিলো মুজিযা। যা আল্লাহর সাহায্যে নবীগণ করতে সক্ষম হয়েছেন। মুজিযা হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার কুদরতের একটি নমুনা। যা নবীগণের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এসব কাজ মানুষের বোধগম্য হয় না। নমরুদের অগ্নিক- হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর জন্য আরাম দায়ক ফুলের বাগানে পরিণত হয়। নীল নদের মাঝখানে মুসা (আ.)-এর তার সহচরদের জন্য মুহূর্তের মধ্যে রাস্তা তৈরি এবং একটি ঠ্যাং ভাঙ্গা মশার ধাক্কায় নমরুদের রাজ প্রসাদ ভেঙ্গে চুরমান। এগুলো আসলে অসম্ভব। কিন্তু অসম্ভব কার জন্য? মানুষের জন্য। তবে এ অসম্ভব কি করে সম্ভব হলো; চিন্তা করা উচিত। প্রকৃত পক্ষে, এসব অসম্ভব কাজ যিনি করেন, তার জন্য অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার। তিনি সর্বময় ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী। দুনিয়ার সকল জ্ঞান-গরিমা একত্র করলে সেটা তার জ্ঞানের সামনে এমন হবে, যেন সমুদ্রের সামনে এক বিন্দু পানি।
একটি বস্তুকে আমরা যেরূপে দেখি, সেটাই কি আসল রূপ? অন্য কোন রূপ ধারণ করে না বা করতে পারে না? এ কথা বলা যাবে না। বোরাক যেটা ঘোড়ার চেয়ে ছোট এবং গাধার চেয়ে বড়। আমাদের ধ্যান-ধারণা মোতাবেক সে বড় জোর ঘণ্টায় ৫-৭ মাইল কিংবা ১০ মাইল পথ অতিক্রম করতে পারে। কিন্তু তার মধ্যে যখন ঐশী শক্তি আসে তখনও কি সে মাত্র দশ মাইল প্রতি ঘণ্টায় চলবে?
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রেবিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে। সারা দেশের সঙ্গে সে কেন্দ্রের সরাসরি যোগাযোগ আছে। কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সাপ্লাই হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে পৌঁছে যায়। এক সেকেন্ডের প্রয়োজন হয় না। কয়েক হাজার মাইল দূর পর্যন্ত এক মুহূর্তে পৌঁছে থাকে। কিন্তু আমাদের ব্যবহারিক আগুন ধরিয়ে দিলে সে তারের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত কয়েক হাজার মাইল পৌঁছতে কয়েক বছরের প্রয়োজন হবে। অথচ উভয় আগুনের জ্বলন প্রকৃতির দিক দিয়ে সমান।
রাসূল (সা.) বলেছেন, মেরাজ থেকে ফিরে এসে উম্মে হানীর ঘরে গিয়ে দেখি, বিছানা এখনও গরম আছে, দরজার জিঞ্জীর এখনও ঝুলছে এবং অজুর পানি এখনও গড়িয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে যে, এটা কি করে সম্ভব হবে? কারণ, একজন মানুষ পবিত্র মক্কা থেকে বাইতুল মোকাদ্দাস গিয়ে দু’রাকাত নামাজ পরে, সেখান থেকে একে একে সপ্তম আসমান পেরিয়ে আরশ ও কুরসি পর্যন্ত গিয়ে জান্নাত ও জাহান্নাম ইত্যাদি পরিভ্রমণ করে পুনরায় ফিরে আসতে যে সময়টুকু লাগতে পারে। সে সময়ের মধ্যে বিছানা গরম থাকা ইত্যাদি কখনও বোধগম্য হয় না- এটা সম্পূর্ণ অসম্ভব। বোরাকের গতির কথা তো কোনো মতে বোধগম্য হয়েছিলো; কিন্তু এটা সত্যিই অসম্ভব ব্যাপার। এটা যদি বোধগম্য না হয়, তা হলে সেটা বোধশক্তির অভাব। অন্যথায় আল্লাহর কুদরতের প্রতি বিশ্বাস থাকলে সেটাও বুঝে আসে। সময় বা কাল অতিবাহিত করানো বা না করানো সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছাধীন। পাশাপাশি দুটি জিনিস থাকলে একটার সময় অতিবাহিত হয়ে যায়, অপরটার সময় এক স্থানেই থেকে যায়। এটা মহান আল্লাহর কুদরত ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমাদের আশেপাশে সেই ধরনের নমুনা বিরাজ করছে, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য নেই। দুটি গাছের চারা পাশাপাশি রোপণ করলে কোন কোন সময় এমনও হতে দেখা যায়, একটি বৃক্ষ বড় হয়ে বিরাট বৃক্ষে পরিণত হয়ে ফুলে ফলে শুশোভিত হয়েছে। কিন্তু অপরটি এখনও ঠিক পূর্বের মতই রয়ে গেছে। একই মাটিতে রোপণ করা। একই দিনে রোপণ করা। সার, আলো, বাতাস ইত্যাদি একই রকম পাচ্ছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একটি পরিপূর্ণ বৃক্ষে পরিণত হয়েছে, অপরটি আগের মতই রয়ে গেছে।
আল্লাহ সর্ব শক্তিমান, তিনি যা ইচ্ছা করেন- কেউ তাতে বাঁধা দিতে পারে না। এ বিষয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এবং নমরুদের মধ্যে তর্ক হয়। তর্কে নমরুদ হতভম্ব হয়ে নিরুত্তর হয়ে গিয়েছিলো। সে ঘটনার উল্লেখ করে মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘অথবা সে ব্যক্তির কথাই ধরে নাও যে, সে এমনই এক গ্রাম দিয়ে যাচ্ছিলো, যেটা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। ওরকম ধ্বংসপ্রাপ্ত গ্রাম সে আর দেখেনি। বিধায় সে আশ্চর্য বোধ করে বললো যে, এ ধ্বংস প্রাপ্ত গ্রামকে আল্লাহ কিভাবে পূর্ণ জীবিত করবেন? (তার সঙ্গে ছিলো টাটকা গরম খাদ্য এবং সওয়ারী স্বরূপ একটি গাধা।) তাকে শিক্ষা দান কল্পে আল্লাহ তা’আলা তাকে মৃত্যু দান করলেন। একশ’ বছর পর তাকে ফেরেশতা কর্তৃক জীবিত করে জিজ্ঞেসা করলেন, তুমি এ অবস্থায় কতক্ষণ ধরে আছ? সে বললো, একদিন বা তার চেয়েও কম। ফেরেশতা বলেন, তুমি ভুল বলছো। বরং তুমি একশ’ বছর এখানে পড়ে রয়েছ। যেমন একশ’ বছর পূর্বে ছিলো। আর তোমার গাধাটার অবস্থা দেখো। সে মরে পচে গলে শেষ হয়ে গিয়েছে। কেবল তার হারগুলো দেখা যাচ্ছে। এবার আল্লাহর কুদরত প্রত্যক্ষ করো : তিনি কিভাবে সেই হারগুলোতে পুনরায় গোশত লাগিয়ে দিচ্ছেন, এভাবে গাধাও জীবিত হলো, এসব আল্লাহর কুদরত প্রত্যক্ষ করার পর সে যখন সবকিছু বুঝতে পারলো, তখন বললো, নিঃসন্দেহে আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।’(সুরা- আল বাকারা : ২৫৯)।
আসুন আমরা উপরোক্ত আয়াতের দিকে লক্ষ্য করে একবার অন্তরে চিন্তা করি। মিরাজের রাতে আল্লাহপাক যদি প্রিয় নবী (সা.)-এর বিছানা, দরজার জিঞ্জীর এবং অজুর পানির জন্য সময় ধরে রাখেন এবং এক মুহূর্তে অতিবাহিত হতে না দেন, আর মিরাজের সমূদয় কাজ যেভাবে সম্পূর্ণ করার প্রয়োজন সেভাবে সম্পন্ন করে দেন, তবে তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ, তিনি সর্ব শক্তিমান, তিনি যা ইচ্ছা করতে পারেন, তার কাজের মাহাত্ম্য যদি আমাদের বোধগম্য না হয়, তাহলে সেটা আমাদের বোধশক্তির অভাব বলে বুঝতে হবে।
রাসূল (সা.) হচ্ছেন সরদারে দোজাহান, তিনি আজ আহকামুল হাকেমীনের আমন্ত্রণে তাঁর দরবারে গমন করেছেন। তার সম্মানার্থে আল্লাহপাক পূর্বাহ্নের সকলকে সর্তক করে দিয়েছেন যে, খবরদার। আমার হাবীব আসছেন, কোন রকম বেআদবি যেন তাঁর শানে না হয়।
অতঃপর প্রিয় নবী (সা.) মিরাজে গেলেন এবং সমূদয় কাজ সেরে ফিরে এলেন এবং দেখলেন বিছানা এখনও গরম, দরজার জিঞ্জির ঝুলছে। অজুর পানি গড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ, আল্লাহর হুকুম এ রকম ছিলো যে, যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকো। অতএব বিছানা এখন গরম ছিলো তাই এখনও গরম। জিঞ্জির জুলছিলো তাই এখনও জুলছে। অজুর পানি গড়িয়ে পরছিলো তাই এখনও গড়াচ্ছে। এটাই যদি হয়, তবে আশ্চার্যের কি আছে? যদি সারাবিশ্বের মানুষ কিছু ক্ষণের জন্য প্রস্তুর মূর্তি সম হয়ে যেতে পারে। তবে সরদারে দোজাহানের সম্মানার্থে সমগ্র সৃষ্টিজগত নীরব নিস্তব্ধ এবং অনড় হবে না কেন? নিশ্চয়ই হবে।