logo ১০ মে ২০২৫
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে তুমুল বিতর্ক
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১০ আগস্ট, ২০১৪ ১০:৫৭:১৭
image

ঢাকা:বিবিসির বাংলাদেশ সংলাপে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন গণমাধ্যমে সমালোচনার ভয়েই সরকার সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।


তবে সরকারের একজন মন্ত্রী এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, প্রয়োগের আগে কমিশনের মাধ্যমে নীতিমালাটি পরিশীলিত করা হবে।


এছাড়া সাম্প্রতিক লঞ্চ ডুবি ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়গুলোও এবারের আলোচনায় উঠে এসেছে।


পাঁচ সপ্তাহের বিরতির পর ঢাকায় বিয়াম মিলনায়তনে সংলাপের এবারের পর্বে আলোচক ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য এম এম আকাশ এবং গণমাধ্যম বিশ্লেষক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর।


একজন দর্শক জানতে জান সরকার যে সম্প্রচার নীতিমালা ঘোষণা করেছে তাকে কি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে আনার একটি চেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে ?


জবাবে আ স ম হান্নান শাহ বলেন সরকার গণমাধ্যমকে ভয় পায় বলেই এ ধরনের নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।


তিনি বলেন, “সংবাদ পত্র বা টেলিভিশন দেখাবে কি? শুধু ওয়াজ মাহফিল নাকি ঈদের কেনাকাটা ? রাস্তায় যদি আন্দোলন করি সেটা দেখাবেনা ? জনগণের কি অধিকার নেই সরকার বা বিরোধী দল কি করছে সেটি দেখার।”


তিনি আরও বলেন সংবিধানে কথা বলার ও গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে সেটাকে খর্ব করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তিনি।


অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কৃষিমন্ত্রী বলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। এখন সম্প্রচার নীতিমালা হলো।


তিনি বলেন, “কমিশনে কিন্তু সব স্তরের লোকই থাকবে। অনেক কিছুই সংযোজন বিয়োজন হবে। তবে কাবা শরীফের গিলাফকে সাঈদী মুক্তির দাবি হিসেবে প্রচার করা হবে আর কিছু বলা হবেনা, এ ধরনের বানোয়াট সাংবাদিকতা সবসময়ই পরিত্যাজ্য।”


আলোচনায় অংশ নিয়ে এম এম আকাশ বলেন সম্প্রচার নীতিমালা সব দেশেই থাকে। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিভাবে প্রয়োগ হবে সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।


তিনি বলেন, “আমরা মিথ্যা প্রচার, কুৎসা রটনা, ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত বা রাষ্ট্রীয় আদর্শের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা ইতিহাস বিকৃতি চাইনা। কিন্তু পুলিশ বা সরকারি কর্মকর্তা অন্যায় করবে আর তুলে ধরতে পারবোনা সেটা তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে সেজন্য সত্য বলা যাবেনা, তাতো হবেনা।”


অপর আলোচক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন সরকার যদি এ নীতি বাস্তবায়নে সক্রিয় হয় তাহলে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকবে।


তিনি বলেন, “ নীতিমালার মধ্যে অনেক ধারা উপধারা আছে যার অপপ্রয়োগ হতে পারে। যার মাধ্যমে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের সুযোগ রয়ে গেছে।”


আরেকজন দর্শক জানতে চান সরকারের অনেক মন্ত্রী ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে নিয়মরক্ষার নির্বাচন হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কি আদৌ মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রয়োজন আছে?


হান্নান শাহ বলেন একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনকে সঠিক করার জন্যই একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রয়োজন।


তবে কৃষিমন্ত্রী বলেন এ ধরনের কোন নির্বাচনের সুযোগ এখন নেই। তিনি বলেন সংবিধান অনুযায়ী সময়মত পরবর্তী নির্বাচন হবে।


(ঢাকাটাইমস/১০ আগস্ট /এআর/ ঘ.)