অনুষ্ঠানে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘ব্রডকাস্ট নীতিমালার একটি গেজেট আমরা হাতে পেয়েছি। এ নীতিমালায় টেলিভিশনকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর ধারাগুলো দেখে আমরা যে ধরনের মনোভাব পাই তা স্বাধীন গণমাধ্যমের পরিপন্থি।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে অনলাইন মিডিয়াকেও এখন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে।সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও সমকাল-এর সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘এ ধরনের কোনো আচরণবিধি করা যায় কি না, সম্পাদক পরিষদের আগামী সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
আলোচনা সভায় প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিপদের মধ্যে আছি। এর মধ্যে এ সম্প্রচার নীতিমালা আরেকটি নতুন বিপদ। এটাকে আপদও বলা যায়। আশা করব, সম্পাদক পরিষদ এ চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করবে।’ তিনি বলেন, গণমাধ্যমের ওপর যে আক্রমণ হচ্ছে, এটার একটা বড় কারণ হলো সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য নেই। এই বিভাজন দুঃখজনক।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, ‘এ সম্প্রচার নীতিমালা অপ্রত্যাশিত। এটা কণ্ঠরোধ করবে। এমনিতেই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত। মালিক নিয়ন্ত্রণ করেন, যাঁরা বিজ্ঞাপন দেন তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করেন, আবার সরকার আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। এই নীতিমালা অত্যন্ত ভয়ংকর, এটা প্রত্যাখ্যান করা দরকার।’
সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম বিষয়ক কিছু নীতি ও আইন তৈরি এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনার জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সহ-সভাপতি এ কে আজাদ, অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সাধারণ সম্পাদক শাইখ সিরাজ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল ও শওকত মাহমুদ প্রমুখ।