logo ২০ মে ২০২৫
সহানুভূতির মাস রমজান
ইসলাম ডেস্ক
০৪ জুলাই, ২০১৫ ১৫:০৭:৫৪
image

ঢাকা: রমজান যেমন বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমত বা দয়াকে আকর্ষণ করে, ঠিক তেমনি এক বান্দার প্রতি অপর বান্দার, এক মানুষের প্রতি অপর মানুষের অন্তরে মমত্ব, সহানুভূতি ও দয়ার উপলক্ষ সৃষ্টি করে। সংযম সাধনার এ মাসটিতে ক্ষুধা ও পিপাসার জ্বালা বাধ্যতামূলকভাবে সয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বিত্তবান-সচ্ছল রোজাদার মানুষ দুঃখী ও অভাবী মানুষের কষ্ট হৃদয়ঙ্গম করতে সক্ষম হন। এভাবেই রোজাদাররা নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে অপরের কষ্ট উপলব্ধি করার ফলে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা নিয়ে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর স্বতঃস্ফূর্ত প্রেরণা বোধ করেন। হাদিসের ভাষায় রমজানকে বলা হয়েছে ‘শাহরুল মুওয়াসাত’ বা সহমর্মিতা ও সহানুভূতির মাস। এটা বলা হয়েছে এজন্য যে, ক্ষুধা-পিপাসা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের যন্ত্রণা সহ্য করার প্রশিক্ষণ একজন সচ্ছল রোজাদারকে অভাবী ও দুঃখীজনের প্রতি সহমর্মী করে তুলতে বাধ্য।


 রাসুলুল্লাহ (সা.) এ মাসে খুব বেশি দান করতেন। হাদিসে তার দানের বিবরণ রয়েছে। সাধারণভাবে পবিত্র কোরান ও হাদিসে অভাবী নিকটজন, প্রতিবেশী ও অধীনদের প্রতি সব সময় দায়িত্বশীল সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে মুমিনদের নির্দেশ ও উৎসাহ দেয়া হয়েছে। রমজানে এর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। হাদিসের বর্ণনায় জানা যায়, কোনো রোজাদারকে ইফতার করালে ওই রোজাদারের রোজার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এছাড়া রমজানে প্রতিটি দানে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সওয়াব। গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ানোর মতো বেশ কিছু উপলক্ষও রমজানে রয়েছে। 

যেমন জাকাত, সদকাতুল ফিতর, সাধারণ দান সবই রমজানে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায়। রমজানের অন্যতম শিক্ষা অভাবী, দুঃখী ও দুস্থদের পাশে দাঁড়ানো। আমরা তো মাসব্যাপী রোজা রাখছি, রাখার চেষ্টা করছি; কিন্তু জীবনে যাদের প্রতিদিনই রোজা, তাদের দিকে কি চোখ ফিরে তাকানোর অনুভূতি অর্জন করেছি? এই এক মাস এবং এ মাসটির পর বাকি এগারো মাস আমাদের প্রত্যেক রোজাদার ভাই-ই যদি রমজানের সহমর্মিতার সবক ও দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাঠ কাজে লাগাই, তাহলে পুণ্য, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির দ্যুতিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে আমাদের সমাজ। রমজানের শিক্ষাটুকু ধারণ করলে আমাদের সমাজ আর পিছিয়ে থাকবে না। এই সমাজে কাউকে না খেয়ে উপোস থাকতে হবে। আমাদের দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করলে সমাজের দারিদ্র্যও অনেকাংশে কমে যাবে। 


(ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/জেবি)