logo ২০ মে ২০২৫
মাহে রমজানে দানশীলতা

ইসলাম ডেস্ক
০৫ জুলাই, ২০১৫ ১৪:৩৪:৪৬
image

ঢাকা: রমজানুল মোবারক মুমিনের জন্য আমলের বসন্তকাল। এ মাসে বান্দা যত আমল করবে তার পরকালীন ভানার ততই সমৃদ্ধ হবে। রমজানের অন্যতম আমল দানশীলতা; গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যেযর হাত বাড়িয়ে দেয়া। কারণ রোজা ফরজ করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। আর এ কল্যাণ তখনই অর্জিত হবে যখন রোজাদার দানের হাত প্রসারিত করবে।

রাসুলুলস্নাহ সা. মানুষের মধ্যে সবচেয়ে উদার ও দানশীল ছিলেন। রমজানে যখন হজরত জিবরাইল (আ.) তার কাছে নিয়মিত আসতেন এবং কোরআন পড়ে শোনাতেন তখন তার দানশীলতা আরো বেড়ে যেত। হজরত আনাস (রা.) বলেন, 'নবী করিম (সা.)-এর চেয়ে বেশি দানশীল আমি আর কাউকে দেখিনি।ন (মুসলিম)। দানশীলতা একটি মহৎ গুণ। রাসুলুলস্নাহ (সা.) বলেছেন, 'ওপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম।ন মাহে রমজানে দানের ফজিলত অনেক বেশি। এজন্য অন্য ১১ মাসের তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সদকা করা উচিত।

রাসুলুলস্নাহ (সা.) তার উম্মতদের শিৰা দিয়েছেন রমজান মাসে দান ও বদান্যতার হাত সমপ্রসারিত করতে। হাদিসে রমজান মাসকে 'সহানুভূতির মাসন বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

রমজানের রোজা ফরজ করার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্ট অনুভব করা। যারা প্রাচুযরাউর জীবন যাপন করেন তারা সারাবছর ৰুধা ও পিপাসার যন্ত্রণা না বুঝলেও রমজানে কিছুটা বোঝেন। এই বোঝা তখনই সার্থক হবে যখন তারা গরিব-অসহায়দের প্রতি সাহায্যেযর হাত বাড়িয়ে দেবেন।

রমজান মাসে আলস্নাহতায়ালা প্রতিটি নফল কাজের সওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। সে হিসাবে রমজানে ১ টাকা দান করে ৭০ টাকা দানের সওয়াব লাভ করা সম্ভব। এজন্য প্রত্যেক রোজাদারের উচিত নিজের সাধ্য অনুযায়ী অনাথ, আর্ত, সহায়-সম্বলহীন ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য দানের হাত বাড়িয়ে দেয়া।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আলস্নাহর পথে ব্যয় করো, নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর তোমরা মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো। আলস্নাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালোবাসেন।ন (আল কোরআন)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আলস্নাহতায়ালা মানব সনত্দানকে লৰ্য করে বলেন, 'তুমি দান করো, তাহলে তোমার জন্যে (আলস্নাহর পৰ থেকে) দান করা হবে।ন

আমাদের সমাজে এমন অনেক অসহায়-নিঃস্ব লোক আছে যারা সেহরি ও ইফতারে সামান্য খাবার জোগার করতেও হিমশিম খায়। বছরের অন্য সময় কোনো রকম চলে গেলেও রমজানে তাদের দুর্ভোগ ও দুর্দশা বেড়ে যায়। এ ধরনের মানুষের প্রতি সাহায্যেযর হাত বাড়িয়ে দেয়া সামর্থ্যবান প্রতিটি মুসলমানের নৈতিক ও ধর্মীয় কর্তব্য। রমজানে গরিবের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর অনেক সুযোগ ও উপলৰ ইসলাম করে দিয়েছে। জাকাত, সদকা ও সাধারণ দানের বাইরেও তাদেরকে ইফতার করানো একটি বড় ফজিলতের কাজ। গরিব হোক ধনী হোক যেকোনো রোজাদারকে ইফতার করালে সওয়াব রয়েছে।

রমজান উপলক্ষে ব্যয়বহুল অনেক ইফতার পার্টিরর আয়োজন করা হয়। এখানে গরিব-দুঃখীদের প্রবেশাধিকার থাকে না। এসব আয়োজনে সাধারণত অনেক অপচয় হয়ে থাকে। যদি যথার্থই সওয়াবের উদ্দেশ্যে হয় তবে বলবো, এর চেয়ে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ইফতার বিলিয়ে দেয়ার সওয়াব অনেক বেশি। তাই পবিত্র রমজানে প্রত্যেকের উচিত সাধ্যমতো গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া।


(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/জেবি)