logo ১৯ মে ২০২৫
সন্দেহপ্রবণতা ইসলামে নিষিদ্ধ
ইসলাম ডেস্ক
১৭ আগস্ট, ২০১৫ ২১:০৮:৪৬
image

ঢাকা: মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বাস করতে গিয়ে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বন্ধনই মানুষকে সামাজিক জীবে পরিণত করেছে। সমাজ জীবনে কারো জন্য এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয় যাতে সামাজিক স্থিতিশীলতা, আস্থা ও রীতি-নীতির ব্যত্যয় ঘটে। ইসলাম সামাজিকতাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। একজন মুসলমান সমাজজীবনে কিভাবে ওঠাবসা করবে এর সবকিছু ইসলাম শিখিয়েছে। কারো প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ না করা ইসলামের অন্যতম সামাজিক শিক্ষা। কারণ, একমাত্র মন্দ ধারণা পোষণ থেকেই সমাজে সৃষ্টি হতে পারে নানা অস্থিরতা।


উন্নত চিন্তা ও কল্যাণকর ভাবনা আমাদেরকে বিবেকবান ও উন্নত মানুষে পরিণত করতে পারে। পক্ষান্তরে ভালোমন্দ বিবেচনা বহির্ভূত খামখেয়ালীপনা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। এক শ্রেণীর মানুষ মন্দ ধারণা নিয়ে সমাজকে হিংসা-বিদ্বেষ ও শত্রুতানির্ভর করে গড়ে তোলে। মন্দ ধারণার মধ্যদিয়ে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ নষ্ট হয়ে যায়। নানান অন্যায় ও অপকর্মের জন্ম দেয়। এজন্য ইসলামের নির্দেশনা হলো-সুচিন্তা-ভাবনা নিয়ে চলতে হবে, কখনও কুচিন্তা বা মন্দ ধারণা করা যাবে না। আল্লাহ কোরআনে বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিক ধারণা থেকে দূরে থাক; কারণ অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ।’


মানুষের স্বভাব হলো, অনেক ক্ষেত্রে তারা ভালো ধারণার পরিবর্তে মন্দটাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। অন্যের সম্মান রক্ষার পরিবর্তে নিজের লাভটাকে তালাশ করে মানুষ। হাদিসে রাসুল (সা.) স্পষ্ট করে ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। কারণ, ধারণাভিত্তিক কথা সবচেয়ে বড় মিথ্যা। তোমরা একে অপরের দোষ অনুসন্ধান করো না আর পরস্পর হিংসা ও বিদ্বেষ পোষণ করো না এবং পরস্পর শত্রুতা ও দুশমনি পোষণ করো না; বরং ভাই ভাই হয়ে থাকো।’


সুষ্ঠু সমাজের জন্য প্রয়োজন পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস। অযথা সন্দেহ পোষণ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। ইসলামে এর থেকে শুধু নিরুৎসাহিত করা হয়নি বরং কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। ধারণানির্ভর বা গুজবের ওপর ভর করে কোনো কথা বলা বা বিশ্বাস করা যাবে না। অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। সন্দেহপ্রবণ মানসিকতা থেকে সবাইকে মুক্ত থাকতে হবে। 


(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/জেবি)