logo ১৯ মে ২০২৫
নারীদের জন্য হজের মাসায়েল
ইসলাম ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ০০:৩৫:০৭
image

ঢাকা: ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে হজ অন্যতম। নিসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী নারী-পুরুষ সকলের জন্যই জীবনে একবার হজ করা ফরজ। পুরুষরা একাই হজে যেতে পারলেও নারীদের জন্য কিছুটা বাধ্যবাধকতা আছে। মহিলারা কোনো অবস্থাতেই মাহরিম ছাড়া হজ করতে পারবেন না। অনেকে মনে করেন, দলবদ্ধভাবে হজে গেলে যে কোনো একজনের মাহরিম থাকলে অন্যদের আর মাহরিম লাগবে না, কিন্তু এটা একটা মারাত্মক ভুল। হজে প্রত্যেক মহিলার সঙ্গে তার নিজ মাহরিম থাকতেই হবে। হ্যাঁ, এমন হতে পারে যে এক ব্যক্তি কয়েকজনের মাহরিম, সুতরাং তিনি তাদের সঙ্গে নিয়ে হজে যেতে পারবেন। যেমন একজন পিতা তার কয়েকজন মেয়েকে নিয়ে হজে গেলেন, মেয়েদের প্রত্যেকেরই যেহেতু পিতা মাহরিম। সুতরাং তাতে অসুবিধা নেই।


অনেক মহিলা বোন ও ভগ্নিপতির সঙ্গে হজে যেতে চান। কিন্তু এটা জায়েজ নয়। কারণ ভগ্নিপতি শ্যালিকার জন্য মাহরিম নয়। সুতরাং বোন সঙ্গে থাকলেও ভগ্নিপতির সঙ্গে হজে যাওয়া মহিলাদের জন্য জায়েজ নয়। শ্যালিকার নিজের মাহরিম সঙ্গে থাকতে হবে।


* ফরজ হজের জন্য স্বামীর অনুমতির প্রয়োজন নেই। মাহরিম পাওয়া গেলে স্বামীর অনুমতি ছাড়াও ফরজ হজে যাওয়া জায়েজ। তবে হজের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ, মহান ও ফজিলতপূর্ণ কাজে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে নেয়া উচিত। স্বামীকে সম্মত করে হজে যাওয়াই উত্তম। (আলমগীরি, আপকে মাসায়েল ৪/২০-২১)


* স্বামী মৃত্যুর ইদ্দত অথবা তালাকের ইদ্দত পালনকালে মহিলারা হজে যেতে পারবেন না। (রহিমিয়া ৮/৬২-৬৩)


* হজের ইহরাম বাঁধার সময় মহিলাদের হায়েজ (পিরিয়ড) হলেও তারা গোসল করে ইহরাম বাঁধবেন।


হায়েজ (পিরিয়ড) অবস্থায় মহিলারা শুধু তাওয়াফ ছাড়া হজের অন্য সব আরকান পালন করতে পারবেন। হায়েজ শেষ হওয়ার পর গোসল করে তাওয়াফ করতে হবে। হায়েজের কারণে তাওয়াফ বিলম্বিত হলে কোনো গোনাহ হবে না। সুতরাং ওষুধ-বড়ি খেয়ে হায়েজ বন্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বা মনোক্ষুণ্ণ হওয়ারও কোনো কারণ নেই। তবে হায়েজ বন্ধ হওয়ার আগেই ফেরত ফ্লাইটের তারিখ হয়ে গেলে ওষুধ খেয়ে হায়েজ বন্ধ করে তাওয়াফ করা যাবে। যদি শুরু থেকেই ওষুধ-বড়ি খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে কেউ হজের পুরো কাজ করেন- তাতেও শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো আপত্তি নেই। (মাহমুদিয়া ১৫/৪৯১, তাতার খানিয়া, ২/৪৭১ ফাতহুল কাদীর ২/৩৩৭ রহিমিয়া ৮/৮৭)


* গর্ভবতী নারীরাও হজ করতে পারবেন। গর্ভাবস্থায় হজ করতে শরিয়তে নিষেধ নেই। (আপকে মাসায়েল ৪/১৯)।


* হায়েজ অবস্থায় আরাকান ময়দানে, যা অন্যত্র পবিত্র কোরআনের ছোট কোনো সূরা (যেমন সূরা এখলাস, সূরা ফাতেহা) অথবা দোয়ার আয়াত তিলাওতের নিয়তে নয়, দোয়ার নিয়তে পড়া যাবে। (রহিমিয়া ৮/৯১) বড় সূরা বা বেশি আয়াত পড়া যাবে না। তিলাওয়াতের নিয়তে পবিত্র কোরআন পাঠ করা যাবে না।


* মহিলাদের বদলি হজ মহিলারা করতে পারবেন। তবে পুরুষদের দিয়ে করানোই উত্তম। (রহিমিয়া ৮/১২৩)।


* ভিড় এড়ানোর জন্য মহিলাদের রাতের বেলায় তাওয়াফ করাই উত্তম।


(ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর/এমআর)