logo ২৩ এপ্রিল ২০২৫
এবার একদিনে সারা দেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে তো?
৩০ নভেম্বর, ২০১৫ ২৩:১১:৪০
image

মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস


 


ঢাকা: কাগজ সংকটে পিছিয়ে যাচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ। পাঠ্যবই ছাপানো ডেডলাইন শেষ হয়েছে ৩০ নভেম্বর। জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রেস মালিকদের এই সময় বেঁধে দেয়।


সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলি পেপার মিলের (কেপিএম) কারণে বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না অভিযোগ পাওয়া গেছে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিটিবির এক পদস্থ কর্মকর্তা ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘এখনো প্রায় এক কোটি বই ছাপানো বাকি। কেপিএম থেকে কাগজ না আসলে বাধ্য হয়েই অন্য উপায় খুঁজতে হবে। কারণ ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন নিয়ে কড়াকড়ি রয়েছে।’


কেপিএমের কারণে অনেক বই ছাপানোর কাজ আটকে আছে। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এনসিটিবির চুক্তি হয়েছে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিকটন কাগজের। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহ করতে পেরেছে তিন হাজার মেট্রিকটন।


প্রতিদিন মাত্র এক ট্রাক কাগজ আসছে। কোনো কোনো দিন তাও আসে না। গত ২৪ ও ২৫ নভেম্বর কোনো ট্রাকই ছাপা খানায় কাগজ নিয়ে আসেনি। ফলে বেই ছাপার ক্ষেত্রে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। আগামীকাল ডেডলাইন শেষ হলেও এখনও কেপিএমের পাঁচশ মেট্রিক টন কাগজ বাকি। বই ছাপা বাকি থাকার জন্য এটাকেই বড় সমস্যা মনে করা হচ্ছে।


এমন অবস্থায় ডিসেম্বর মাঝামাঝিতেও বই ছাপানোর কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অবশ্য বেসরকারি প্রেস মালিকরাও যে খুব দ্রুত ছাপার কাজ করছেন তাও বলা যাচ্ছে না। কারণ তারা সময় মতো চাহিদা পূরণ করতে পারবে কি না তা নিয়ে এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ শঙ্কার মধ্যে আছে।


আর বই ছাপা শেষে তা উপজেলায় পৌঁছানো হবে। কিন্তু দ্রুত ছাপার কাজ শেষ না হলে উপজেলায় বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না। ফলে ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসবে অনেক উপজেলা শামিল নাও হতে পারে।


এনসিটিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাগজ নিয়ে চুক্তি হওযার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা ছিল। এছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ৩০ হাজার টাকা বেশি দামে কেপিএমের সঙ্গে আমরা চুক্তি করেছি। কিন্তু সেইভাবে সেবা পাচ্ছি না। তবে আমরা কেপিএমকে বিভিন্নভাবে বলেছি যাতে দ্রুত তারা পদক্ষেপ নেয়।’


এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক মোস্তাক আহমেদ ভুঁইয়া ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘কেপিএম আমাদের চাহিদা মেটাতে পারেনি। তবে তারা চেষ্টা করছে। অল্প কিছু কাগজ বাকি আছে। আশা করছি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।’


(ঢাকাটাইমস/৩০নভেম্বর/এমএম/ডব্লিউবি)