ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং সাপ্তাহিক ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনকে দেখতে হাসপাতালে যান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে দশটার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে পৌঁছে আরিফুর রহমানের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। এসময় মন্ত্রী বেশ কিছুক্ষণ আরিফুর রহমানের পাশে অবস্থান করেন। সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে তাকে দ্রুত সারিয়ে তুলতে ডাক্তারদের নির্দেশও দেন তিনি। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার একান্ত সহকারী সচিব ফোয়াদ হোসেন।

এর আগে সকাল নয়টার দিকে আরিফুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে যান পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। প্রতিমন্ত্রী তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলেন, ‘একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া বড় কোনো বিপদ হয়নি।’

গতকাল বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফুর রহমান দোলনসহ ছয়জন আহত হন। বেলা সোয়া ১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের বদরপুর এলাকায় মাহেন্দ্রর সঙ্গে টয়োটা প্রাডো গাড়ির সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আরিফুর রহমানের বাম পায়ে গোড়ালির নিচে চিড় ধরেছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

বদরপুর এলাকার যে স্থানে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে দ্রুত একটি ‘স্পিড-ব্রেকার’ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মন্ত্রী বলেন, ‘ওই স্থানটি বিপজ্জনক। আর যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য যত দ্রুত সম্ভব একটি স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করতে স্থানীয় প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামও আরিফুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে যান।

দুর্ঘটনায় অন্য আহতরা হলেন- সাপ্তাহিক এই সময়-এর প্রধান প্রতিবেদক হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম শফি ও ঢাকাটাইমসের ফটোসাংবাদিক এস এম রিয়াজ। দুর্ঘটনায় আহত মাহেন্দ্রর দুই যাত্রীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সোয়া ১টার দিকে সম্পাদককে বহনকারী প্রাডো গাড়িটি ঢাকা থেকে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় যাচ্ছিল। ঘটনাস্থল পার হওয়ার সময় একটি মাহেন্দ্র হঠাৎ বদরপুর-সালথা আঞ্চলিক সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠে আসে। এতে প্রাডোর চালক আনোয়ার দ্রুত ব্রেক কষলেও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শী বদরপুর এলাকার রতন রায় জানান, দুর্ঘটনার ফলে প্রাডো গাড়ি ও মাহেন্দ্রর সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় প্রাডো গাড়ির চারজনসহ মোট সাতজন আহত হন। খবর পেয়ে ফরিদপুর দমকল বাহিনীর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহেন্দ্রর যাত্রী ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর হোসেনপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ ব্যাপারী মারা যান।

(ঢাকাটাইমস/২১জানুয়ারি/এএম)