logo ২২ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপির মহাসচিব: ফখরুল না অন্য কেউ
২৬ জানুয়ারি, ২০১৬ ১০:৫১:৪৪
image



বোরহান উদ্দিন,ঢাকাটাইমস






 






ঢাকা: ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে নানা জল্পনাকল্পনা চলছে বিএনপিতে। চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়ার পুননির্বাচনে নেই ন্যূনতম সংশয়। তবে মহাসচিব পদে কদিন আগেও মির্জা ফখরুলের নাম এককভাবে আসলেও এখন শীর্ষ নেতারা বলছেন একাধিক নাম।






কেউ মনে করছেন,এবার হয়তো ভারমুক্ত হতে যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেউ আবার বলছেন,এই পদে আসতে পারে নতুন মুখ। সম্ভাব্য তালিকায় বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার নামও শোনা যাচ্ছে।






নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘যে যত কথা বলুক সবকিছু তো চেয়ারপারসনের ওপর নির্ভর করবে। তিনি কাকে নিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করবেন তা তিনিই জানেন’।






যদিও যাদের নাম আসছে তারা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে চাইছেন না। আর মির্জা ফখরুল বলছেন,এই পদে কে থাকবে সে বিষয়ে দলই সিদ্ধান্ত নেবে।






মহাসচিব পদে মির্জা ফখরুলের বাইরে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।






বিএনপির সূত্র বলছে, মির্জা ফখরুলের পরেই খালেদা জিয়ার অগ্রাধিকারে আছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আর সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এ পদে আসতে রাজি নন তরিকুল ইসলাম।






২০১১ সাল থেকে মির্জা ফখরুল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরমধ্যে জাতীয় সম্মেলন না হলেও তাকে ভারমুক্ত করা হতে পারে এমন খবর বহুবার বের হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি।






মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা হয়েছে ৮৬টি। এর মধ্যে অভিযোগ গঠন হয়েছে ২৫টিতে। আওয়ামী লীগের গত আমল থেকে এখন পর্যন্ত সাতবারে প্রায় এক বছর কারাগারে কাটিয়েছেন মির্জা ফখরুল। ফখরুল সমর্থকরা মনে করেন, পদ দেয়ার ক্ষেত্রে এসব বিষয়কে মূল্যায়ন করা হবে।






তবে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ওপর কিছুটা অসন্তুষ্ট বলেও কেউ কেউ দাবি করেন। ২০১৪ সালে আন্দোলনের সময় ফখরুলকে নিয়ে তারেকের টেলিফোন আলাপ ফাঁস হওয়ায় বিষয়টি সামনে চলে আসে।






আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ওপর তারেক রহমানের আস্থা ভালো বলে কেউ মনে করছেন। যে কারণে খালেদা জিয়া যখন চিকিৎসার জন্য লন্ডন ছিলেন তখন তিনিও সেখানে ছিলেন। তারেক রহমানই তাকে রেখেছিলেন বলে শোনা যায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গেও সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রীর ভালো যোগাযোগ আছে জানা গেছে।






আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অবশ্য বলছেন, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘অনেক পত্রিকা মনে হয় ইতিমধ্যে নিউজ করে ফেলেছে। আমি তো কাজ করছি দলের জন্য। সেক্ষেত্রে মহাসচিব পদ নিয়ে কাজ করতে হবে কেন? এগুলো মনে হয় সবই গুজব’।






স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নাম জোরালোভাবে না আসলেও তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো অভিযোগ নেই। দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি প্রায় দুইবছর জেল খেটে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক এই মন্ত্রী।






তবে কিছুদিন ধরে বিএনপিতে ভাঙন ধরাতে তার নেতৃত্বে একটি অংশ কাজ করছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়। যদিও তিনি তা অস্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, ‘যদি সরকারের সঙ্গে যদি সমঝোতা করতাম তাহলে ২২ মাস কেন কারাগারে থাকতে হলো।’






প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও দলের শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ মির্জা ফখরুলকে পূর্ণ মহাসচিব করার পক্ষে নন। যার নেতৃত্বে মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কথা শোনা যায়। এও প্রচার আছে যে, ফখরুল বলয়ের বাইরে গেলে মির্জা আব্বাস অথবা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও মহাসচিব পদে আসীন হতে পারেন।






এ বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার টেলিফোন করলেও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।






এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘যাদের নাম বললেন এরা প্রত্যেকে মহাসচিব পদের জন্য যোগ্য। দায়িত্ব পেলে এরা সবাই দলের হয়ে কাজ করতে সক্ষম। কিন্তু কে হবেন সেজন্য তো কাউন্সিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে’।






(ঢাকাটাইমস/২৬জানুয়ারি/বিইউ/ডব্লিউবি)