logo ১৯ জুলাই ২০২৫
বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ৫ খাবার
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১০ মার্চ, ২০১৬ ০০:১২:২৬
image



ঢাকা: মাছ, মাংস, শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি অনেক কিছুই আমরা খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কী বিশ্বে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা পুষ্টির পরিবর্তে মৃত্যু ডেকে আনতে। এমন কিছু বিষাক্ত খাবার নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।






পটকা মাছ: পটকা মাছ একটি বিষাক্ত মাছ। শুধু এই মাছ খেয়ে দেশে দেশে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা নেহাৎ কম নয়। পটকা মাছে বিষাক্ত টেট্রোডোটক্সিন(এটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন) রয়েছে।এটি লিভার বা যকৃত এবং শরীরের অন্যান্য অংশে বিষাক্ত পদার্থ ছড়িয়ে দেয়। ২০১৫ সালে জাপানে এই মাছ খেয়ে পাচঁজন মারা যায়। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পটকা মাছ খেয়ে জাপানে ৪৪ জন মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।






কামরাঙা: যারা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের জন্য কামরাঙা ভয়াবহ জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ কামরাঙাতে ক্ষতিকর নিউরোটক্সিন রয়েছে। মাত্র ১০০ মি.লি. কামরাঙার রস আপনার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতে প্রভাব ফেলতে পারে।






বুলফ্রগ: এটি একধরনের বড় আকৃতির ব্যাঙ। আফ্রিকান অঞ্চলের দেশ নামিবিয়াতে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আফ্রিকানরা শুধু ব্যাঙের পা খায় না পুরো ব্যাঙই খায়। এতে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত উপাদান রয়েছে। এসব বিষাক্ত পদার্থ কিডনি ফেইলর ঘটাতে পারে।






রক্ত ঝিনুক: চীনের সাংহাইয়ে এটি খুব জনপ্রিয়। খুব দ্রুত সেদ্ধ হয়। ক্ষতিকর অনেক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া রয়েছে এই ঝিনুকে। এসব ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে হেপাটাইটিস-এ, ই, টাইফয়েড, আমাশয় হতে পারে। তিন লাখের অধিক ব্যক্তি এই ঝিনুক খেয়ে সংক্রমিত হয়েছে। ১৯৮৮ সালে সাংহাইয়ে ৩১ জন ব্যক্তি মারা যায়। প্রতি বছর ১৫ শতাংশ ব্যক্তি রক্ত ঝিনুক থেকে নানা রোগে আক্রান্ত হয়।






ফেশিখ: এক ধরনের মাছ। এই মাছ দিয়েই তৈরি হয় মিশরের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। লবণ দিয়ে এই মাছ এক বছর শুকিয়ে রাখা হয়। বসন্তকালীন শ্যাম-আল নেসিম উৎসবে মিশরীয়রা এই মাছ খেয়ে থাকে। এই মাছ শরীরে বিষাক্ত পদার্থ ছড়ায়। প্রতি বছরই এই মাছ খেয়ে অনেক মিশরীয় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ২০০৯-১০ সালে এই মাছের বিষক্রিয়ায় চারজন মিশরীয় মারা যায়।






(ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/এসআই/এআর/ঘ.)