ঢাকা: রূপ পরিচর্চায় যুগ যুগ ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে টকদই। ওজন কমাতেও জুড়ি নেই দুগ্ধজাত এই পণ্যটির। টকদইয়ের সঙ্গে আরও কিছু উপাদান মিলিয়ে এর কার্যকারিতা বহুগুণে বাড়ানো যায়। আসুন জেনে নেই ত্বক এবং চুলের চর্চায় টকদইয়ের ব্যবহার।
খুশকি নিয়ন্ত্রণে: টকদইয়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস এবং এক চিমটি লবন মিশিয়ে নিন। চুলের গোড়ায় এই মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন। মিশ্রণের ঘনত্ব বাড়ানোর জন্য মেশাতে পারেন কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল। এতে খুশকি তো দূর হবেই পাশাপাশি চুলের রুক্ষতাও কমবে।
প্রাকৃতিক পরিষ্কারক: টকদইয়ে বিদ্যমান ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মরাকোষ দূর করে প্রাণবন্ত করে, এটি সকলেরই জানা। প্রাকৃতিক এক ত্বক পরিষ্কারকের সঙ্গে ওটমিল পাউডার, ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে শরীরে লাগিয়ে নিন। ত্বক থেকে আর হাতই যেনো সরবে না!
ব্লিচিং এজেন্ট: টকদইকে বলা হয় ত্বকের ব্লিচিং এজেন্ট। এর সঙ্গে অরেঞ্জ পিল মিশিয়ে নিন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে এবং রোদে পুড়ে যাওয়া কালচে ভাব দূর হবে। নিয়মিত এই মিশ্রণের ব্যবহারে আপনি নিশ্চিত মনেই রোদে ঘুরতে পারবেন।
ঠোঁটের যত্নে: গ্রীষ্মের বৈরি প্রভাব থেকে বাদ যায় না ঠোঁট। ঠোঁটের উপর ২০ মিনিট টকদই লাগিয়ে রাখুন, ধীরে ধীরে এটি আগের অবস্থানে ফিরে আসবে। অথবা টকদইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন সরিষার তেল। ধীরে ধীরে এটি ঠোঁটের ওপর ঘষে নিন। ঠোঁটের মরাকোষগুলো উঠে যাবে এবং আগের মতো কোমলতা ফিরে পাবে।
(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/জেএস)