logo ১৬ জুলাই ২০২৫
নিরামিষভোজীদের জন্য দুঃসংবাদ
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
৩১ মার্চ, ২০১৬ ১৯:০১:১০
image



ঢাকা: যেসব পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিরামিষ খেয়ে আসছেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ শুনালেন মার্কিন গবেষকরা। তাদের দাবি, একাধিক প্রজন্ম ধরে যারা নিরামিষভোজী তাদের দেহে জেনেটিক মিউটেশন হয়, যা হৃদরোগ এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। নতুন এক গবেষণায় এমনই তথ্য খুঁজে পেয়েছেন তারা। 






গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদে নিরামিষাশীরা অধিক পরিমাণে ডিএনএ বহন করছে যা প্রদাহের জন্য দায়ী। মিউটেশনের কারণে নিরামিষাশীরা শাকসবজি থেকে অধিক পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করে। যার ফলে তাদের শরীরে আরাকিডোনিক অ্যাসিডের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এটি প্রদাহজনক রোগব্যাধি এবং ক্যানসার ছড়াতে সাহায্য করে। ভেজিটেবল অয়েল সমৃদ্ধ ডায়েটে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। মিউটেড জিন এসব ফ্যাটি অ্যাসিডকে আরাকিডোনিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত করে। তাছাড়া, মিউটেশন ওমেগা-৩ উৎপাদনে বাধা দেয়। যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।






নতুন এই গবেষণা চিকিৎসকদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করেছে। কারণ এর আগের গবেষণাগুলোতে বলা হয়েছিল, যারা লাল রঙের মাংস খায় তাদের তুলনায় নিরামিষাশীদের পেটের ক্যানসারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কম।






যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ভারতের পুনার শতাধিক নিরামিষাশীদের জিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের মাংসাষীদের জিনের সঙ্গে তুলনা করেন। পরীক্ষায় তারা উল্লেখযোগ্য জিনগত প্রার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন।   






কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক টম বার্না বলেন, যারা উত্তরাধিকার সূত্রে নিরামিশাষী তাদের জিন দ্রুত উদ্ভিদ ফ্যাটি অ্যাসিড হজম করে।এই ধরনের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভেজিটেবল অয়েল প্রদাহজনক আরাকিডোনিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়ে ক্রনিক প্রদাহের ঝুঁকি বাড়ায়। যা হৃদরোগ এবং ক্যানসার তৈরি করতে পারে। মানুষের জিনে মিউটেশনের উপস্থিতি অনেক আগে থেকেই।আর এটি মানুষের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে আসছে।   






নিরামিষাশীদের মধ্যে প্রোটিন, লৌহ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-বি১২ এবং ক্যালসিয়ামের অভাব লক্ষ্য করা যায়। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মাংসাষীদের তুলনায় নিরামিষাশীদের হাড়ে খনিজের ঘনত্ব পাঁচ শতাংশ কম।






অন্য এক গবেষণায় বলা হয়েছে, নিরামিষাশীদের মধ্যে ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ কম।গবেষণা নিবন্ধটি আণবিক জীববিজ্ঞান এবং বিবর্তন নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।






(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এসআই/এআর/ঘ.)