logo ১৭ জুলাই ২০২৫
আপনি কি স্লিম থাকতে চান?
তানজিলা প্রিমা
২৯ মার্চ, ২০১৬ ০০:৩৪:৪৯
image




মানুষ অভ্যাসের দাস? নাকি অভ্যাস মানুষের? অবশ্য শারীরিক ফিটনেসের বেলায় প্রথম কথাটিই মানিয়ে যায় বেশি। কারণ কথায় আছে না শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাবেন তাহাই সয়। আমরা যেভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলব এবং জীবনযাপন করব, আমাদের শারীরিক অবস্থাও ঠিক সেভাবেই পরিবর্তিত হবে। অনিয়মিত খাওয়া কিংবা বেশি খাওয়া ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর অতিরিক্ত ওজনের ফলস্বরূপ ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, গিটে ব্যথা প্রভৃতি রোগ দেখা দেয়। অনেকে বাড়তি ওজন কমাতে গিয়ে শুধু একদিকেই লক্ষ্য রাখেন, তা হলো কত কম সময়ে বেশি ওজন কমল। হঠাৎ করে খাওয়া-দাওয়া একদম কমিয়ে দিয়ে কিংবা না খেয়ে ওজন কমানোর ভূত মাথায় চেপে বসে। পরবর্তী সময়ে লো প্রেসারসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই মনে রাখতে হবে, ফিট থাকতে হলে এবং ওজন বাড়তে দিতে না চাইলে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ৭টি এমন অভ্যাস আছে যা মেনে চললে আপনি থাকবেন সুস্থ এবং ¯ি¬ম।



সপ্তাহান্তে দিনগণনা : আপনি সারা সপ্তাহে খাবার-দাবারে অনেক কিছু মেনে চললেন কিন্তু সপ্তাহের শেষে এসে সব নিয়ম ভেঙে ইচ্ছামতো ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলেন। এতে সারা সপ্তাহ আপনি যা পরিশ্রম করলেন পুরোটাই বিফলে যাবে। সপ্তাহ শেষে আপনি যা খাবেন তা হতে হবে সীমাবদ্ধ।



কম-বেশি ব্যায়াম : কম হোক বেশি হোক ব্যায়াম করতেই হবে। যদি একান্তই সময় না পান তবে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা হাঁটুন। অফিস কিংবা বাসা উঁচুতলায় হলে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। ছুটির দিনগুলোতে সকালে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।



লিকুইড ক্যালোরিকে না বলুন : খাবারের ক্ষেত্রে সবাই নিয়মকানুন মেনে চললেও তরল ক্যালোরি গ্রহণের সময় ততটা সাবধান থাকেন না। চা, কফি, কোল্ড ড্রিংক, সোডা থেকে আসা একটি বিরাট অংশের ক্যালোরিকে উপেক্ষা করে যান যা খুবই ক্ষতিকর। তরল ক্যালোরি খাবার থেকে আসা ক্যালোরির চেয়েও বিপজ্জনক কারণ এটি অতি দ্রুত চর্বিতে পরিণত হয়। তাই এসবের পরিবর্তে শরবত, নারিকেলের পানি পান করুন।



পরিমিত ঘুম : সারা দিন যতই কাজ করুন না কেন পরিমিত ঘুমান। দৈনিক অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।



যা খাবেন সন্তুষ্টচিত্তে খান : ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেউ হয়ত কোনো খাবার একদমই খান না, আবার কেউ জোর করে খান। এমনটা কখনোই করবেন না। পরিমিত পরিমাণে সব খাবারই খান।



প্ল্যান করুন : সারা দিনে কি কি খাবেন তার একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা অনুসরণ করুন। এর বেশিও খাবেন না, কমও না।



বারবার ওজন মাপবেন না : আপনার শারীরিক ওজন স্বাস্থ্যেরই একটি অংশ। এটা নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। নিয়ম মেনে চললে ওজন স¤পূর্ণ আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আপনার ওজন বেশি নাকি কম তার চেয়েও বড় ব্যাপার হচ্ছে শারীরিকভাবে আপনি কতটা সুস্থ।