logo ১৬ মে ২০২৫
রজব মাসের তাৎপর্য
ইসলাম ডেস্ক
১০ এপ্রিল, ২০১৬ ১৬:১১:১৫
image



ঢাকা: পবিত্র রজব মাস শুরু হয়েছে। চন্দ্রমাসের মধ্যে এই মাসটি অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ মাস। ‘রজব’ আরবি শব্দ, এর অর্থ হলো সম্মান করা। আল্লাহ যে চারটি মাসকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছেন এর একটি রজব।  ঘটনাবহুল এ মাসের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। রমজানের বার্তা সূচিত হয় রজব মাস থেকে। এ মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতে হয়। রজব মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাসুল (সা.) দোয়া পড়তে বলতেন, ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বালিগনা রমাদান।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ তুমি রজব ও শাবান মাসে আমাদের ওপর বরকত দাও এবং রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও। শবে মেরাজ এ মাসের খুবই ফজিলতপূর্ণ রাত। যেসব রাতে আল্লাহ মুমিনের প্রার্থনা কবুল করেন এর একটি ২৭ রজবের রাত। এ রাতে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করে আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার প্রিয় বন্ধু। এ রাতেই মুমিনের ওপর নামাজ ফরজ করা হয়। এ ছাড়া ইসলামের আরো কয়েকটি বিধান এ রাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত।






কোরআন কারিমে রজব মাস সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর কাছে মাস গণনায় মাস ১২টি, তন্মধ্যে চারটি (সম্মানিত হওয়ার কারণে) নিষিদ্ধ মাস, এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না এবং তোমরা মুশরিকদের সাথে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করবে, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে থাকে। এবং জেনে রাখো, আল্লাহ তো মুত্তাকিদের সাথে আছেন।’ (সূরা তাওবা: ৩৬)।



মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি রজব মাসের রাতগুলোর একটিতে (দুই রাকাত করে) নির্দিষ্ট একটি নিয়মে ১০ রাকাত নামাজ আদায় করবে, মহান আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন। নামাজ আদায়ের পদ্ধতিটি হলো প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহার পর একবার সুরা কাফিরুন এবং তিনবার সুরা এখলাস যুক্ত করে পড়া’। এছাড়া বিভিন্ন হাদিসে রজব মাসের ফজিলত ও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে।






পবিত্র রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করার মাস হিসেবে রজব মাস মুসলমানদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। এ জন্য সবার উচিত প্রিয় নবীজির (সা.) আদর্শ অনুসরণ করে এই মাসটিকে যথার্থভাবে আমলে কাটানোর চেষ্টা করা। রাসুলের (সা.) মতো রমজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণস্বরূপ রোজা রাখার আমল করা। রজবের প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে রমজানের প্রস্তুতি। যারা রজব মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন তারাই রমজান কাটাতে পারবেন পুরোপুরি হক আদায় করে। এছাড়া রজব মাসের মহামান্বিত রাত লাইলাতুল মেরাজে ইবাদত-বন্দেগি করে কাটানোও মুমিনের দায়িত্ব।






(ঢাকাটাইমস/১০এপ্রিল/জেবি)