logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে সহায়তা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৭ এপ্রিল, ২০১৬ ২২:০২:০৮
image



ঢাকা: পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমন্বয় করতে নীতিগত সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে নির্ধারিত সীমার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে— এমন ব্যাংকগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ছাড় দেবে, যাতে এসব ব্যাংকের কোনো শেয়ার বিক্রি করতে না হয়।






বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় আরও জানায় বিনিয়োগকারীদের জন্য এমন ব্যবস্থা করা হবে যাতে শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ সৃষ্টি হবে না।



কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোকাম্মেল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর ধারণকৃত অতিরিক্ত বিনিয়োগ (এক্সপোজার) কোনো প্রকার শেয়ার বিক্রি না করে আইনিসীমার মধ্যে নামিয়ে আনার জন্য কিছু নীতি সহায়তা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে এক্সপোজারের উপাদান হিসাবের ক্ষেত্রে পুনর্বিন্যাসসহ কতিপয় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে তাদের সাবসিডিয়ারির মূলধন বাড়ানো হবে। এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার ফলে ব্যাংকগুলোর শেয়ার বিক্রির প্রয়োজন হবে না।



বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৮ থেকে ১০টি ব্যাংকের বিনিয়োগ আইন নির্ধারিত সীমার ওপরে রয়েছে। ২০১৩ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের আগে কোনো ব্যাংক মোট দায়ের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারতো। সংশোধিত আইনে ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসেবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও অবণ্টিত আয়ের (রিটেইন্ড আর্নিংস) ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের বিধান করা হয়। এতে করে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ সক্ষমতা কমে যায়। তবে ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত বিনিয়োগ চলতি বছরের ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সমন্বয়ের সময় দেয়া হয়। এ সময় সীমা বাড়াতে বিভিন্ন পক্ষ দাবি জানিয়ে আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয় করতে শেয়ারবাজারে বিক্রির চাপ বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় টানা দরপতন চলছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগত সহায়তা দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নিল।



ব্যাংকগুলো অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে যাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে এ কারণে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সহায়তার ধরন একেক ব্যাংকের জন্য একেক রকমও হতে পারে। এর আগে গত ডিসেম্বরে এক নির্দেশনার মাধ্যমে ব্যাংকের সাবসিডিয়ারীতে মূলধন হিসেবে সরবরাহ করা অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাতে করে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হিসেবে ধরা হতো এমন পাঁচ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আর সেখানকার বিনিয়োগ গণ্য হচ্ছে না।






(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/ইএস)