logo ১১ জুলাই ২০২৫
অনুভূতিজনিত আঘাত থেকেই ঈর্ষার জন্ম
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২১ মে, ২০১৬ ২০:১৫:৫২
image



মানুষ মাত্রই তার কিছু ভাল দিক থাকবে এবং কিছু খারাপ দিকও থাকবে। এরই মধ্যে বাসা বাধে এক বিশেষ অনুভূতি; যার নাম ঈর্ষা। 






ইংরেজি ভাষায় জেলাসি এবং এনভি দুটি ভিন্ন শব্দ। দ্বিতীয়টির অর্থ অন্যের যা আছে তা দেখে নিজের কেন নেই সেটি ভাবা এবং ওই জিনিসটি নিজের জন্য কামনা করা। অর্থাৎ এনভি ঘটে দুজন মানুষের মধ্যে। কিন্তু জেলাসিতে দুজন নয়, তিনজনের ভূমিকা রয়েছে। এই শব্দটি মূলত সম্পর্কের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। কেউ যখন ভাবেন যে তৃতীয় ব্যক্তি কেউ এসে দ্বিতীয় ব্যক্তিকে তার থেকে কেড়ে নেবেন, তখন সেই অনুভূতিটি হল জেলাসি।






কথ্য বাংলায় যখন ঈর্ষা শব্দটি ব্যবহার করা হয় তখন অনেক সময়েই সাইকোলজির এই দুই আলাদা টার্মিনোলজিকে এক করে ফেলা হয়। ‘এনভি’ শব্দটির সঠিক বাংলা হল পরশ্রীকাতরতা এবং জেলাসিকে বরং ঈর্ষা বলা যায়। জেলাসি হওয়ার কারণটা সোজাসাপ্টা আমার যা আছে তা যেন হারিয়ে না যায়।






মনোবিদ্যা বলছে, এক ধরনের অনুভূতিজনিত আঘাত থেকে মানুষ ঈর্ষা করতে শুরু করেন এবং তার মূলে থাকে নিজের কোনো দুর্বল দিক। কেউ হয়তো পড়াশোনায় খারাপ। যতবার সে পড়াশোনায় ভাল কারো মুখোমুখি হয়, ততবার তার মনের মধ্যে সেই আঘাতটা খুঁচিয়ে ওঠে। অন্য কেউ ‘আমার চেয়ে ভালো’ এই ভাবনাই মানুষের মধ্যে ঈর্ষা তৈরি হওয়ার প্রাথমিক শর্ত। যদিও এই ভাবনা থাকলেই যে ঈর্ষা হবে তা নয়। কখনও এই ভাবনা থেকে নিজের পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষ আরও দুঃখীবোধ করে কিন্তু ঈর্ষা করে না।






ঈর্ষা তৈরি হতে আর একটি উপাদান খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং তা হল নিজের সম্পর্কে হীন মনোভাব। এই হীনমন্যতাই মানুষকে অন্যের সম্পদ, জীবনযাপন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ক্যারিয়ার, সামাজিক প্রতিষ্ঠা সবকিছু নিয়ে ঈর্ষা করতে শেখায় এবং ঈর্ষার কোনো শেষ নেই বরং ঈর্ষা জমতে জমতে বিরাট আকার ধারণ করে এবং মানুষকে ক্রমশ অপরাধের দিকে নিয়ে যায়।






(ঢাকাটাইমস/২১মে/জেডএ)