মানুষ কেনো চুমু খায়?
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
০৪ জুন, ২০১৬ ০০:২২:৫৯

ঢাকা: পৃথিবীর অনেক প্রাণীকেই ঠোঁটে ঠোঁট রাখতে দেখা যায়। পাখিরা ঠোঁট ঠোকাঠুকি করে পরম ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়। তবে, মানুষই বোধ হয় একমাত্র প্রাণী যারা ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমুকে তার মর্মসহ উপলব্ধি করতে পারে। চুমু এমনই এক বিষয়, যার শুরু কবে তা যেমন কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না, তেমনই কেউ এর প্রকৃত অনুভূতিগুলিকেও সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারে না।
চুম্বনের ইতিহাস, ভূগোল, বা বায়োলজি নিয়ে অসংখ্য গ্রন্থ লেখা হয়েছে। তবুও মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই এই বিশেষ কাজটি নিয়ে। পাঠকের জন্য চুমু সম্পর্কে ৪টি তথ্য দেয়া হলো।
১. প্রচীনতম চুমুর বর্ণনা রয়েছে বৈদিক সংস্কৃতিতে। বৈদিক সংস্কৃত গ্রন্থগুলোতে চুমুকে বলা হয়েছে— পরস্পরের আত্মাকে অনুভবের ক্রিয়া।
২. এর বিপরীতে অনেক নৃতত্ত্ববিদই দেখান, মানুষ ছাড়াও অন্য প্রাণীদের মধ্যে চুমুর চল রয়েছে। শিম্পাঞ্জিরাও একে অপরকে চুমু খায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে শিম্পাঞ্জিদের সেই আচরণ আর মানুষের চুমুর উপলব্ধি এক নয়।
৩. আধুনিক বিশ্বে চুমু সম্পর্কিত সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্বটি হলো— মানুষের ঘ্রাণেন্দ্রিয় তেমন তীক্ষ্ণ নয়। অন্য স্তন্যপায়ীদের মতো মানুষও কিন্তু গন্ধ দিয়ে কোনো কিছুকে বুঝতে চায়। দু’টি মানুষের মুখ কাছাকাছি এলে বেশ কিছু হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। সেই ক্ষরণকে বুঝতে মানুষ ঘ্রাণ নিতে চায়। সে কারণে চুমুই হয়ে দাঁড়ায় সব থেকে প্রকৃষ্ট উপায়। কিন্তু এ তত্বটি কতটুকু অনুভবের সেটা পাঠকই বলতে পারেন।
৪. তবে, শেষ পর্যন্ত চুমু ঘনিষ্ঠতার একটা প্রতীক হিসেবই বিবেচিত। তাই মানুষ চুমু খায়। স্পর্শানুভূতির চূড়ান্ত স্তরকে চুমুই নির্ধারণ করে। তা থেকেই শুরু হতে পারে যৌনতার যাত্রা। শারীরিক সুখের প্রথম দ্বারটি চুমু। সেটা অস্বীকার করছেন না কেউই।
(ঢাকাটাইমস/০৪জুন/ইএস)