‘বাড়তি ট্যারিফে বিকাশ ঘটবে ভেজাল খাদ্যের
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২২ জুন, ২০১৬ ১৫:০৮:২৬
![image]()
ঢাকা: বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড জুস ইম্পোটার্স এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফায়জুর রহমান বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে খাদ্য ও জুসের ওপর বাড়তি ট্যারিফের বোঝা চাপালে সুষম খাদ্য বিতরণ এবং বণ্টন ব্যাহত হবে। খাঁটি খাদ্যের পরিবর্তে ভেজাল খাদ্যের বিকাশ ঘটবে। ফলে বিস্তার ঘটবে জটিল রোগের।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আমদানিকৃত জুসসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের ওপর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আরোপিত ট্যারিফ ভ্যালু বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুড অ্যান্ড জুস ইম্পোটার্স এসোসিয়েশন নামের একটি সংগঠন।
ফায়জুর রহমান বলেন, ‘বাড়তি ট্যারিফের কারণে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। পণ্যের গুণগত মানের ক্রমঅবনতি হবে। মানহীন পণ্যে বাজার সয়লাব হবে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারের অবসান হবে। এতে দেশে খাদ্য ও জুসের সঙ্গে জড়িত ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের অকাল মৃত্যু ঘটবে। একই সঙ্গে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের পথ সুগম হবে। যার আনুমানিক পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা।’
তিনি বলেন, ‘সমূলে ধ্বংস হবে আমদানির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ২০০০ ব্যবসায়ী এবং এর সঙ্গে জড়িত এক লাখ পরিবার। সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয়ও দারুণভাবে কমে যাবে।’
ফায়জুর রহমা বলেন, ‘২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি ট্যারিফ মূল্য চালু হলে বর্তমান বাজারের ২৫০ টাকার এক কেজি জুস কিনতে হবে ৮০০ থেকে ৮৫০টাকায়।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বায়ন ও বিশ্ব বাণিজ্যে সমতা আনতে বর্তমান সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। যার প্রতিফলন বিগত বাজেট পরিকল্পনায় ছিল। কিন্তু ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের বিশেষ কিছু সিদ্ধান্তে শুধু বাংলাদেশের জনগণের মান উন্নয়নে বিরূপ প্রতিক্রিয়াই ঘটেনি। বরং বিশ্ব বাণিজ্যের সমতা আনতে প্রতিবন্ধক হিসেবে গণ্য হয়েছে, যা দেশের মানুষকে হতাশ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের ভোক্তা আইনে সেনসেটিভ পণ্যগুলোকে বাদ দিয়ে সমতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি। এক্ষেত্রে সরকার ডব্লিউটিও এর চুক্তির শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক ভোক্তা আইন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকারও বাধাগ্রস্ত হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এ শেখ সাদি, সদস্যসচিব মোহাম্মদ জগলুল হায়দার পুলক, সদস্য মোহাম্মদ মারুফ হাসান, মোহাম্মদ এনামুল কবির এনাম প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/২২জুন/জিএম/জেবি)