logo ০৭ জুলাই ২০২৫
একটি অসম প্রেম, অতঃপর...
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৮ জুন, ২০১৬ ২২:০৩:৩৩
image



ঢাকা: ভালোবাসা জাত, ধর্ম, বর্ণ, বয়স কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করে না। এ রকমটা আমরা সবসময় শুনে আসছি। আসলে কি তাই? তবে এইটুকু জানি, ভালোবাসার সম্মোহনী শক্তি সব প্রতিকূলতাকেই হার মানায়। সমাজের চোখে যা খারাপ, প্রেমের সম্পর্কে তা সহজেই আসকারা পায়। অনেক অসুন্দরকে প্রেমময় রূপ দেয় ভালোবাসা নামক জাদুর কাঠি। তবে আজকে আমরা পাঠকদের ভালোবাসার ব্যাখ্যা দেব না। একটি অসম প্রেমের সম্পর্কের গল্প শোনাব।






ভারতের কোনো এক শহরে বসবাস করে রূপক। স্থানীয় একটি কলেজে পড়াশোনা করে সে। কলেজের প্রথম ক্লাসেই ভালো লেগে যায় সুনয়না নামে তার এক কলেজ শিক্ষিকাকে। প্রথম প্রথম ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করার মধ্যে তাদের সম্পর্ক সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে রূপকের ভালোলাগাটা তীব্রতর হতে শুরু করে। চলুন বাকিটা শুনি রুপকের মুখ থেকেই।   






রূপক তার ভালোবাসা কাহিনি বলতে গিয়ে বলেন, “আমার বয়স ২০। একটি কলেজে পড়াশোনা করছি। কলেজের এক শিক্ষিকার সঙ্গে সম্পর্ক চলছে। প্রেমের শুরুটা হয়ে কয়েক মাস আগে। আমাদের মাঝে মধ্যে ফেসবুকে চ্যাটিং হতো। একপর্যায়ে, দুজন দুজনকে ভালোবাসতে শুরু করি। এখন আমাদের দুজনের সম্পর্ক অনেক ঘনিষ্ঠ পর্যায়ে চলে গেছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে আমরা শারীরিক সম্পর্কেও জড়িয়েছি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমার প্রেমিকা ছয় বছরের বড় এবং তার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। তার পরিবার ইতিমধ্যে একটি ছেলেকে তার জন্য পছন্দ করেছে।”






রূপক তার সমস্যার কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, “আমি তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে সাহস পাচ্ছি না। জানি কোনো মা-বাবা এই ধরনের সম্পর্ক মেনে নেবে না। এদিকে পালিয়ে গিয়েও বিয়ে করতে পারছি না। আমাদের এখন কী করা উচিত? আমরা সত্যিই একে অপরকে অনেক ভালোবাসি। এটি শুধু নিছক আকর্ষণ নয়। দয়া করে সাহায্য করুন।”  






রূপকের এই সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছেন ভারতের প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ও কাউন্সেলর ডা. অসিমা প্রুথি। তিনি বলেন, "আমি বুঝতে পারছি, এই ধরনের একটি সম্পর্কে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া অনেক কঠিন। বিশেষ করে মেয়েটি যদি হয় নিজের চেয়ে বয়সে বড়। একই সঙ্গে আমি বলতে চাই, বয়সে বড় কারো সঙ্গে প্রেম করা কোনো অপরাধ নয়। ভালোবাসার ক্ষেত্রে বয়স সংখ্যা মাত্র। কিন্তু সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, আপনি এখনো পড়াশোনা করছেন। এই সময়ে ভালোবাসার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা স্পষ্টতই একটি কঠিন বিষয়।”






ডা. অসিমা প্রুথি রূপককে পরামর্শ দিতে গিয়ে আরও বলেন, “পুরো পরিস্থিতিটা আপনার সঙ্গীর সঙ্গে পর্যালোচনা করুন। আপনার প্রেমিকার উচিত তার মা-বাবাকে বুঝানো। তাদের কাছ থেকে আরও কয়েক বছর সময় চেয়ে নিতে বলুন। সে যদি তার মা-বাবাকে বুঝাতে সক্ষম হন তাহলে আপনারা দুজন মিলে পরিকল্পনা করে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন। আর যদি শুধু আপনার দুজনকে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয় তাহলে মনে রাখুন, সামনে আপনাদের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। আপনারা যদি অপেক্ষা করতে না পারেন, তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় সম্পর্কটি  আন্তরিক থাকা অবস্থায় বেরিয়ে আসা। তা না হলে দুজনের জন্য ভয়ঙ্কর কষ্টের কারণ হতে পারে। যার জন্য সারা জীবন হয়তো অনুতাপ করবেন।”          






(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/এসআই/জেবি)