খাবার নিয়ে শিশুকে জোর করবেন না
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৫ জুন, ২০১৬ ১২:৫৩:৪২

ঢাকা: শিশুরা জানে না কী খাবে, কী ভাবে খাবে। আপনাকেই শেখাতে হবে, খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করাতে হবে। তাই বলে জোরাজুরি একদম নয়। শিশুকে খিদে পেতে দিন, বুঝতে দিন। খিদে বুঝে খাওয়াটা ওর বাকি জীবনে চলার জন্য জরুরি। আপনার দায়িত্ব সুষম খাবার খাওয়ানো।
অনেক সময়ই শিশুদের খাবারে কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। এক বছরের পর থেকে কিন্তু ধীরে ধীরে প্রোটিন দিতে হবে শিশুকে। দেড় বছর থেকে পরিমাণটা বাড়বে। দুই বেলা অল্প করে এক বেলা হয়তো মাছের পাতলা ঝোল, আর রাতে চিকেন ক্লিয়ার স্যুপ। ডিম সিদ্ধর বদলে ভাজা (স্ক্রাম্বলড) ছোটরা বেশি পছন্দ করে। তাতে অসুবিধা নেই। সবজি ও ফল মিলে অন্তত পাঁচ রকম দৈনন্দিন খাবারে থাকলে ভাল। আসলে ভিটামিন আর মিনারেলস এই সময়টা খুব জরুরি। ইনস্ট্যান্ট ফুডগুলো পারতপক্ষে না দেয়াই ভাল। এতে শুধু কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাট থাকে। বরং টমেটোর স্যুপ দিন। প্রথম দিন খেতে না চাইলে ছয় দিন পরে আবার দিন। জোরাজুরি না করে আগ্রহ তৈরি করার চেষ্টা করুন। টমেটোর স্যুপ বানানোর সময় ওকে পাশে রেখে তৈরির প্রক্রিয়ায় সঙ্গে নিন। বানানো হয়ে গেলে আস্বাদ নিতে চাইবে ঠিক। কিংবা সকালবেলা কলা খাবে যখন, তখন ছাল ছাড়িয়ে ওকে নিজেকে খেতে দিন।
প্রথম কয়েক দিন হয়তো ঠিক মতো পারবে না, তার পর কিন্তু ও নিজে খোসা ছাড়ানোর বিষয়টায় মজা পাবে। সন্তানের সঙ্গে বসে একসাথে খান—ওর ভাল লাগবে। পারিবারিক বন্ধন পোক্ত হবে। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনারা যেমন খাচ্ছেন, তেমনটা ওকেও খেতে দিন। অনেক মা সিদ্ধ ঝোল ভাত চটকে বড়বেলা পর্যন্ত খাইয়ে যান। তাতে চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয় না বাচ্চার। তাই বলে যখন তেলেভাজা খাচ্ছি, সেটাও খুদেকে দেবেন না। একটু মাখন বা ঘি ঠিক আছে— ডুবো তেলে ভাজা খাবার দিলে বাচ্চার হজমে সমস্যা হতে পারে। পনির, মেয়োনিজ, পিনাট বাটার ইত্যাদি বাইরে থেকে কিনে না দেয়া ভাল। বাড়িতে বানালে আলাদা কথা। ছোটবেলা যতটা সম্ভব বাড়ির খাবারই খাওয়াই ভাল।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/জেএস)