শ্বশুরবাড়িতে খাপ খাওয়ানোর কৌশল
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৩ জুন, ২০১৬ ১৮:০৮:২৬

ঢাকা: ‘শ্বশুরবাড়ি’ শব্দটি অধিকাংশ বাঙালি নারীদের কাছে এখনো আতঙ্ক ও ভয়ের কারণ। কারণ শ্বশুরবাড়ির মানুষের কাছ থেকে যদি পর্যাপ্ত সহযোগিতা, আন্তরিকতা এবং ভালোবাসা না পাওয়া যায় তাহলে একজন নববধূর পক্ষে নিজেকে নতুন একটি পরিবেশে মানিয়ে নেয়া বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে খাপ খাওয়াতে চাইলে বউদের একটু কৌশলী হতে হয়। অন্যজনের চাহিদার সঙ্গে নিজের চাহিদার সামঞ্জস্য রাখা সহজ ব্যাপার নয়। খারাপ কোনো কিছু ঘটার আগে আপনার সাবধানতা অবলম্বন এবং পরিবারে সম্প্রীতি বজায় রাখা উচিত। শ্বশুরবাড়িতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে যারা জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের জন্য রইল কিছু টিপস।
-সর্বপ্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে স্বামী-স্ত্রী মিলেমিশে কাজ করা। সংসার যুদ্ধে আপনি অর্ধেক বিজয়ী হয়ে গেলেন যদি আপনার স্বামী আপনার প্রত্যাশা ও প্রয়োজনগুলো বুঝতে পারে। সংসারের খুঁটিনাটি সব বিষয় স্বামীকে বলা ঠিক নয়। এতে করে স্বামীর জন্য পরিস্থিতি জটিল হতে পারে। একটা বিষয় বুঝার চেষ্টা করুন, নিজের মা-বাবা যেমন আপনার অনেক আপন। ঠিক তেমনি শ্বশুর-শাশুড়িও আপনার জন্য আপন।
-আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, শ্বশুরবাড়িতে আপনি সবসময় প্রশংসা নাও পেতে পারেন। তার জন্য মন খারাপ করবেন না। নিজের মা-বাবার বাড়ির সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কখনো তুলনা করবেন না। দুই বাড়ির মধ্যে অনেক বিষয় মিল পাবেন না। তবু বিষয়টি আপনাকে সহজভাবে মেনে নিতে হবে।
-কিছু বলার ক্ষেত্রে সামনাসামনি বলা ভালো। শ্বশুর-শাশুড়ির অগোচরে কোনো কিছু বলা একেবারেই উচিত নয়। কারো অনুপস্থিতিতে বা অগোচরে নিন্দা করা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। সবচেয়ে ভালো হয় স্বামীর উপস্থিতিতে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কথা বলা। তাতে করে নিজেদের মধ্যে স্বচ্ছতা থাকবে এবং ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না।
-শশুর-শাশুড়ি যদি ব্যস্ত মানুষ হন তাদের বুঝার চেষ্টা করুন। তাদের শ্রদ্ধা করুন। কারণ তারা বয়োঃজ্যেষ্ঠ। শ্বশুর-শাশুড়ির কোনো আচরণে বিপর্যস্ত হবেন না। তাদের প্রতি বিষোদগর করা থেকে বিরত থাকুন।
-অতিরিক্ত কথা বলবেন না। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলা উচিত নয়। এতে করে সবকিছু আপনার বিপক্ষে চলে যেতে পারে।
-যথাসম্ভব চেষ্টা করুন শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে তর্কে না যেতে। এতে তারা ক্ষেপে যেতে পারেন এবং ঝগড়া শুরু হয়ে যেতে পারে। সংবেদনশীল বা অভিমানী কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন হলে আপনার স্বামীকে বলুন।
-ছোটখাটো ঝগড়া এবং বিদ্রূপে মন খারাপ করবেন না। বৃহত্তর কল্যাণ বা সুখের স্বার্থে, তুচ্ছ তর্ক-বিতর্ক আসলেই বড় কিছু নয়। স্বামীর সঙ্গে আন্তরিক বন্ধন তৈরি করাই এখানে জরুরি। শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে ভালো হওয়ার জন্য নিজের ওপর জোর খাটাবেন না।
-নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানুন। শ্বশুর-শাশুড়ির ইচ্ছেমত নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করবেন না। তাদেরকেও আপনার খুশি মতো বদলানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।
-নির্দিষ্ট বিরতিতে নিজের মা-বাবার বাড়িতে যান। আপনার ইচ্ছেমত সময়টা উপভোগ করুন। চাপমুক্ত থাকার এটি একটি দারুণ উপায়।
-সবশেষে, পরিবারের ভারসাম্য রক্ষা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টেলিভিশনে সিরিয়াল দেখা বন্ধ করুন। এতে আপনার ওপর বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এসআই)