মাতাল চালকদের শাস্তি লাশকাটা ঘর!
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২১ জুন, ২০১৬ ২২:৩৪:২৪

ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে বিশ্বের অনেক দেশেই কঠোর আইন চালু রয়েছে। তবুও নানা কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছেই। তবে এবার সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অভিনব উপায় বেছে নিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। থাইল্যান্ডে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হচ্ছে, মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো। মঙ্গলবার অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন মাতাল চালককে লাশ দেখানোর জন্য ব্যাংকক মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। চালকদের অসাবধনতার কারণে কি ধরনের রক্তাক্ত পরিণতি হয় তা দেখানোর জন্যই মর্গে নেয়া হয় তাদের। থাইল্যান্ডের রাস্তায় মানুষ হত্যা বন্ধে সরকারি কর্মসূচির অংশ এটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে পুরো বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। প্রথম স্থানে রয়েছে লিবিয়া।
থাইল্যান্ডে ‘মর্গ ক্যাম্পেইন’ প্রথম চালু হয় চলতি বছরের এপ্রিলে। থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের প্রথম দিনে দেশটির সরকার এই কর্মসূচি চালু করে। এই উৎসবের সময় থাইল্যান্ডের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেসে আসে। অনেকে গ্রামের বাড়িতে চলে যায় উৎসব উদাযাপন করতে। থাইল্যান্ডের নাগরিকরা প্রচুর মদ্যপান করেন এ সময়টাতে। উৎসব উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকে সাত দিন। উৎসবকালীন প্রতি ঘন্টায় ২ দশমিক ৩ জন লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এবং ১৬০ জন আহত হয়। তাই এই সময়টাকে বলা হয় “বিপদের সাত দিন।”
থাইল্যান্ডের প্রবেশন বিভাগ এই কর্মসূচি চালু করেছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ১৭০০ মাতাল চালককে দেশব্যাপী ডজনের বেশি লাশ রাখার মর্গে নেয়া হয়েছে।
প্রবেশন বিভাগের উপ-পরিচালক প্রাসার্ন মাহালিট্রাকুল বলেন, “অতীতে আমরা সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালিয়েছি। তাতে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানে তেমন প্রভাব ফেলেনি। তাই আমরা অন্য কোনো উপায়ের কথা চিন্তা করি। যা মানুষের মনে ধাক্কা দেবে এবং ভাবনার উদ্রেক করবে। এরপরই আমরা এই কর্মসূচি হাতে নেই। মাতাল গাড়ি চালকদের এখন সোজা মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়।”
থাইল্যান্ডের সরকারি তথ্য মতে, ২০১৫ সালে ১১ হাজার ৩৭০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এই সংখ্যাটি শুধুমাত্র যারা বিমা করেছে তাদের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪ হাজার ২৩৭ জন মারা গেছে। থাইল্যান্ডের অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে মোটরসাইকেল চালকদের কারণে।
(ঢাকাটাইমস/২১জুন/এসআই)