logo ১৫ মে ২০২৫
ঈদুল ফিতর: রোজাদারদের পুরস্কার
ইসলাম ডেস্ক
০৬ জুলাই, ২০১৬ ১৬:৪৯:৩৮
image



ঢাকা: রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আগত মাহে রমজানের প্রতিদান পূর্ণতা পায় ঈদুল ফিতরে। ঈদুল ফিতর রোজাদারদের জন্য পার্থিব নগদ উপহার। আর উপহার ও পুরস্কার মানেই খুশির। এজন্য ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম খুশির উৎসব।






পবিত্র মাহে রমজান মুমিন বান্দাদের জন্য একটি পরীক্ষা। যারা এ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হবেন, তাদের জন্য মহান প্রভুর পক্ষ থেকে রয়েছে বিশেষ প্রতিদানের ঘোষণা। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘ঈদুল ফিতরের দিন সকালে আল্লাহতাআলা ফেরেশতাদের পাঠিয়ে দেন। তারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েন এবং গলিপথের মুখে দাঁড়িয়ে আওয়াজ করে ঘোষণা দিতে থাকেন, হে উম্মতে মোহাম্মদি! তোমরা তোমাদের দয়াময় রবের প্রতি মনোনিবেশন করো। অফুরন্ত ভাণ্ডার থেকে তিনি তোমাদের দান করবেন। বড় বড় গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ এরপর লোকজন যখন নামাজের স্থানে পৌঁছে, আল্লাহতায়ালা তখন ফেরেশতাদের সম্বোধন করে বলেন, ‘ওই মজদুরদের কী বিনিময় হতে পারে, যারা তাদের কাজ সম্পন্ন করেছেন?' ফেরেশতারা বলেন, তাদের বিনিময় হচ্ছে পূর্ণরূপে পাওনা তাকে দিয়ে দেওয়া। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা সাক্ষী থাকো, বিনিময়ে আমি তাদের আমার সন্তুষ্টি ও ক্ষমা দান করলাম এবং তাদের গোনাহগুলো নেকির দ্বারা পরিবর্তন করে দিলাম।’






ঈদুল ফিতর মুসলমানদের আনন্দের উৎসব। তবে মুসলমানদের আনন্দ-উৎসব নিছক আনন্দের জন্যই না, তা একটি ইবাদতও বটে। এজন্য মুসলমানদের তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করতে হয় ধর্মীয় আঙ্গিকে। লাগামহীন আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে ইসলামের চেতনা ও আদর্শকে ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঈদুল ফিতরের দিন করণীয় হলো, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা, ভালো করে গোসল করে সুগন্ধি লাগানো, ঈদগাহে যাওয়ার আগে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণে মিষ্টিমুখ করে ঈদগাহে যাওয়া, ঈদের জামাতে শামিল হওয়া এবং পুরো খুতবা শোনা।






ঈদের দিনের দোয়া আল্লাহতায়ালার দরবারে কবুল হয়। এ দিনের ইবাদতেরও বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। সম্ভব হলে ঈদের জামাত পড়ে ঘরে ফিরে চার রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নেবেন। আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত এ দিনের বিশেষ আমল। ঈদপূর্ব রাতটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। আনন্দ-ফুর্তির তোড়ে ঈদের ভাবগাম্ভীর্য যেন নস্যাৎ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই ঈদের দিন নানা ফালতু কাজে জড়িয়ে পড়েন। এটা ঈদের পুরস্কার প্রাপ্তির পথে বড় অন্তরায়। সংযমের যে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সারা মাস রোজা রেখেছেন সে মাসের ছাপ থাকতে হবে ঈদ উদযাপনে।






(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/জেবি)