ঈদের আরও বেশ কিছু দিন বাকি থাকলেও এখনই ঊর্ধ্বমুখী কোরবানির আনুসঙ্গিক পণ্য। দাম বেড়েছে আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন মসলার দাম। রাজধানীর বাজার ঘুরেও চড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে ইলিশের দাম কমেছে। অন্যান্য মাছও আছে ক্রেতাদের নাগালের ভেতর।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ক্রেতা আবুল হোসাইন অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কোরবানির অনেক আগেই আনুসঙ্গিক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ঈদের আগে এসব পণ্যের দাম হয়ত আরও বেড়ে যাবে। তবে বিক্রেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বাজার স্বাভাবিকই আছে। কিছু কিছু পণ্য সরবরাহের কারণে একটু দাম বেড়েছে, আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি দেশি আদা ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হলেও সপ্তাহে ব্যবধানে এখন তা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা আদা ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে মানভেদে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ, কপি, সিমসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি শিম ৮০-৯০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৫০-৫৫ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৯০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৪০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, আলু ২৫-২৮ টাকা, পটল ৪০ টাকা, আমদানি করা গাজর ১২০ টাকা এবং বাধা ও ফুলকপি পিস ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি লেবু ২৫-৩০ টাকা এবং কাঁচকলা হালি ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি মাঝারি রুই ২৫০-৩০০ টাকা, বড় রুই ৪০০-৫০০, আমদানিকৃত রুই-কালত ৩০০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-২২০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০- ২০০ টাকা এবং আকারভেদে ইলিশ প্রতি জোড়া ১০০০-২২০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪২০-৪৩০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা নিম্নমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ৫ টাকা কমে ১৪০-১৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর লেয়ার মুরগি ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম হালি প্রতি ৫০ টাকা, হাসের ডিম হালি প্রতি ৪৫ টাকা, ফার্মের মুরগির লাল ডিম হালি প্রতি ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/জেবি)