মসলার বাজারে কোরবানির উত্তাপ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০২:১৭

প্রতি বছর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বেড়ে মসলার দাম। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতিটি মসলার দাম। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে এই দাম বাড়িয়ে থাকেন। সারা বছরের লাভ কোরবানি ঈদে করে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি লবঙ্গের দাম বেড়েছে ২৫০ টাকা, জিরা ৭০, এলাচ ২৫০, গোলমরিচ ২৫০, শুকনো মরিচ ২০ ও ধনে ২০ টাকা করে বেড়েছে। এ ছাড়া আদার দামও হু হু করে বাড়ছে। প্রতিকেজি আদায় বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। রসুনেরও একই অবস্থা। প্রতিকেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। পেঁয়াজে বেড়েছে ৩-৫ টাকা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কোরবানির ঈদে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, দারুচিনি, এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, তেজপাতা ও গোলমরিচের চাহিদা বেশি থাকে। ফলে এ সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু মসলা আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে।
ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, দেশের মসলার মজুদের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। অন্যদিকে বৈধ পথের তুলনায় অবৈধ পথেই বেশি মসলা আমদানি হয়। অথচ চাহিদা বাড়ার কারণেই ভোক্তাদের অনেকটা জিম্মি করেই বেশি দামে মসলা বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
তবে খুচরা বাজারে দাম বাড়ার ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে পাইকারি ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি, নতুন করে কোনো ধরনের মসলার দাম বাড়ানো হয়নি।
মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী এনায়েত উল্লাহ আমদানিতে ও পাইকারি বাজারে দাম কিছুটা বাড়ার কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি জানান, চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে যথেষ্ট আমদানি হয়েছে। ঘাটতি পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। ঈদকে কেন্দ্র করে মসলার বাজারে কোনো সিন্ডিকেটের কথা তিনি অস্বীকার করেন।
(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/জেবি)