logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
বিপাকে ফরিদপুরের ২৩ ব্যাংক
ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২০:০৪:৪৭
image




ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ফরিদপুর সোনালী ব্যাংক চাহিদামতো টাকা সরবরাহ করতে না পারায় সংকটে পড়েছে ফরিদপুরের অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো।



ফরিদপুরের সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফরিদপুরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের কাছে প্রয়োজন জানিয়ে টাকা নিয়ে থাকে। কিন্তু ঈদুল আজহার আগে চাহিদা অনুযায়ী টাকার সরবরাহ না পেয়ে অন্যান্য ব্যাংকগুলোতে ‘হাহাকার’ সৃষ্টি হয়েছে।



ফরিদপুর জেলায় চারটি সরকারি ব্যাংক ও ১৯টি বেসরকারি ব্যাংকসহ মোট ২৩টি ব্যাংকের আনুমানিক দুই শতাধিক শাখা রয়েছে।



ফরিদপুর অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লুৎফর রহমান বলেন, সোনালী ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় টাকা সরবরাহ না পেয়ে আমাদের দারুণ সংকটে পড়তে হয়েছে।



তিনি বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আমরা ১০ কোটি টাকার চাহিদা জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিন কোটি ১০ লাখ টাকা মঙ্গলবার পর্যন্ত আমাদের সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে আমাদের মধ্যে একটা হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।



ব্যাংকের তারল্য সংকট নিয়ে ফরিদপুরে কর্মরত বেসরকারি ব্যাংকগুলো অভিযোগ করলেও তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।



ফরিদপুর প্রাইম, যমুনা ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বুধবার সকালে সোনালী ব্যাংকে টাকা আনতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়।



নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরিদপুরে কর্মরত একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বলেন, ফরিদপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলা ও রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলা মিলিয়ে তাদের ৩৭টি এটিএম বুথ রয়েছে। ওইসব বুথে পাঁচশ ও এক হাজার টাকার নোট রাখা হয়। কিন্তু সোনালী ব্যাংক ওই মানের নোট সরবরাহ না করায় গ্রাহকরা ভোগান্তির মুখে পড়েছে।



‘টাকা উত্তোলনে  সাময়িক এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে’- মন্তব্য করে ফরিদপুর সোনালী ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক লক্ষ্মী নারায়ণ ঘোষাল বলেন, টাকা দিতে সমস্যা হবে না। বরিশাল থেকে টাকার গাড়ি বুধবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফরিদপুর শহরে পৌঁছে যাবে। তখন টাকার আর কোনো সমস্যা থাকবে না।



(ঢাকাটাইমস/৭ সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)