logo ০৭ মে ২০২৫
ফেসবুকে কোরবানির ছবিতে আপত্তি কলকাতার ইমামদের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১২:৪৭:৩২
image



ঈদের দিন পশু জবাইয়ের ছবি ফেসবুকে বা সামাজিক মাধ্যমে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুই নেতৃস্থানীয় ইমাম। কলকাতার বিখ্যাত দুই মসজিদ – নাখোদা এবং টিপু সুলতানের প্রধান ইমামদের এই আবেদনে সমর্থন জানিয়েছেন অন্য গুরুত্বপূর্ণ ইমামরাও।






গত কয়েক বছর ধরে কোরবানির ঈদের দিন পশু জবাইয়ের ছবি ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক মাধ্যমে দেয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। অনেকেই এরকম ছবি ফেসবুক-টুইটারে আদৌ শেয়ার করা উচিত কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।






নাখোদা মসজিদের ইমাম মুহম্মদ শফিক কাজমি বিবিসি বাংলাকে জানায়, অনেকেই আজকাল কোরবানির ছবি ফেসবুক বা হোয়াটস্অ্যাপে দিয়ে দিচ্ছেন। যদি কোনও হিন্দু ভাই সেটা দেখেন, তার বিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে। সেজন্যই আমি বারণ করেছি যাতে কেউ পশু জবাইয়ের ছবি ফেসবুকে না দেয়। পর্দা ঘেরায় জায়গায় নিজেদের মতো করে কোরবানি দেয়া উচিত, সকলের সামনে যেন না করা হয়- আমি এই আবেদন জানিয়েছি।






প্রতিবছর কলকাতার রেড রোডে রাজ্যের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হয়। সেই নামাজ পরিচালনা করেন ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, কোরবানি তো মানুষ নিজের জায়গায় করবে, সেই ছবি হোয়াটসঅ্যাপে কেন দেবে? যারা পছন্দ করে, তারাও দেখবে আর যাদের জবাই অপছন্দ, তারাও তো দেখবে ওই ছবি! হিন্দু বা যারা নিরামিশাষী এদের মনে তো আঘাত লাগবে জবাইয়ের ছবি দেখে। এমন কিছু করাই ইসলামে নিষেধ, যাতে কারো মনে আঘাত লাগে। তাই জবাইয়ের ছবি এভাবে দেয়া ঠিক নয়।






কোরবানির পশু জবাইয়ের ছবি বিবাদেরও জন্ম দিতে পারেন বলে মনে করেন রহমান। অন্য ধর্মবিশ্বাসী, নিরামিশাষী ছাড়া পশু জবাইয়ের এসব ছবি শিশুদের মনেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তারা ভয় পেতে পারে বলে মনে করেন পশ্চিমবঙ্গের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ইমাম।






রাজ্যের সব ইমামদের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন জানানো হয়েছে যাতে তারা বিষয়টি বিশেষভাবে প্রচার করেন। এছাড়াও ঘেরা জায়গায় পশু জবাই করা এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার কথাও মুসলিমদের মনে করিয়ে দিয়েছেন ইমামরা।






(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/জেএস)