বয়স মাত্র সাত বছর, কিন্তু এখনই অর্জন করেছেন দেবীর মর্যাদা। রীতি অনুযায়ী, ছোট এই মেয়েটি কখনই মাটিতে পা ফেলতে পারবে না। শুধু তাই নয় দেশটির প্রধানমন্ত্রীকেও তার সামনে হাঁটু গেড়ে দাঁড়াতে হবে। ঘটনাস্থল নেপাল। আর এই শিশুকে দেবী ঘোষণার কারণ তো আরো মজার। কারণ হচ্ছে শিশুটির চোখের পাপড়ি গরুর মতো এবং কণ্ঠস্বর হাঁসের মতো।
মেয়েকে দেবী ঘোষণার পর চাকরি ছেড়েছেন তার বাবা-মা। কারণ এখন থেকে তো আর মেয়েকে মাটিতে নামতে দেয়া যাবে না। তাই সর্বক্ষণ তার সঙ্গেই থাকতে হবে। হিন্দু রীতি অনুযায়ী, বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়া দেবী বাড়ি থেকেও বের হতে পারবেন না।
বার্ষিক এক অনুষ্ঠানে কুমারী এই মেয়েকে দেবী ঘোষণা করা হয়। যাকে বলা হয় ইউনিকা। নেপালী প্রধানমন্ত্রী পুষ্পা কামাল ধাহালও দেবী ইউনিকার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে দাঁড়াতে হয়।
সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী, এই দেবীর মধ্যে দুর্গার রূপ কল্পনা করে পূজা করা হয়। কিন্তু ইউনিকার যখন শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পর্দাপন করবে তখন থেকে সে আবার সাধারন মানুষের মতো জীবন-যাপন করতে পারবেন।
ইউনিকার বাবা রমেস বজ্রচার্য্য বলেন, আমার মেয়েকে ‘কুমারী’ হিসেবে নির্বাচন করায় আমি খুব খুশি। এর কারণ হচ্ছে কুমারী নেপালে খুবই শ্রদ্ধার জায়গা।
ইউনিকার মা সাবিতা তাকে ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সাজিয়ে দেন। তবে তিনি রমেসের মতো খুশি নন। কারণ, তার মেয়ে সাধারন আর দশটা বাচ্চার মতো শিশুকাল উপভোগ করতে পারবে না।
২০০৮ সালে নেপালে কুমারী পূজার বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও আদালতের রায়ে বলা হয়, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ গুরুত¦পূর্ণ।
(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/জেএস)