logo ১৯ এপ্রিল ২০২৫
কলা থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন
আন্তুর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:৩৩:৩২
image



ভারতের ৮৮ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন না। দিনের পর দিন পুরোনো ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো ব্যবহার করেন। হাইজিন নিয়ে এই নারী ভাববেন, এটা আশা করা বাড়াবাড়ি। তাই একই কাপড়ের টুকরো কোনো মতে ধুয়ে নিয়ে বার বার ব্যবহার করেন।






সবার যে স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার ক্ষমতা নেই, তাও কিন্তু নয়। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৭০ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার মতো ক্ষমতা নেই। বাকি যে ১৮শতাংশ তাদের ক্ষমতা থাকলেও কেনেন না। মনে করেন, মাসের নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য বাড়তি খরচের মানে হয় না। স্যানিটারি ন্যাপকিন তাদের কাছে বিলাসিতারই নামান্তর।






বাস্তবের এই ছবিটা এবার বদলে দিতে দলবল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টটিউট অব আইটি(এমআইটি) গ্র্যাজুয়েট অমৃতা সাইগল। হার্ভাড থেকে তিনি এমবিএও করেছেন। সঙ্গে পেয়েছেন ক্রিস্টিন কাগেৎসুকে। কলা থেকে তারা তৈরি করছেন স্যানিটারি প্যাড। আরও ভেঙে বললে, কলাগাছের ফেলে দেয়া অংশের ফাইবারকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হচ্ছে এই স্যানিটারি প্যাড।






অমৃতাদের দাবি, গ্রামের নারীদের হাইজিনের দিকটি মাথায় রেখেই তারা এই স্যানিটারি ন্যাপকিন বানাচ্ছেন। এতদিন যারা 'এলিট'-এর দোহাই দিয়ে স্যানিটারি প্যাড এড়িয়ে গিয়েছেন বা কেনার মতো যাদের আর্থিক সংগতি নেই, তাদের হাতে এই বানানা ন্যাপকিন পৌঁছে দেয়াই লক্ষ্য তাদের স্টার্টআপ 'সাথী'র। ২০১২ সাল থেকেই এটা নিয়ে বিস্তর গবেষণার কাজটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এমআইটির দুই ইঞ্জিনিয়ার অমৃতা ও ক্রিস্টিন। নানা ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে অবশেষে কলাগাছের ফেলে দেয়া অংশের ফাইবার থেকে ন্যাপকিন তৈরি করতে তারা সমর্থ হন।






এক সমীক্ষার উল্লেখ করে ক্রিস্টিনের দাবি, ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার পর ২৩ শতাংশ মেয়ে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এই ছবিটা আমরা বদলে দিতে চাই। আমরা চাই না ঋতুস্রাবের মতো একটা স্বাভাবিক একটা জিনিস কারো পড়াশোনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াক।






অমৃতার কথা অনুযায়ী, তাদের প্যাড ১০০ শতাংশ পরিবেশ বান্ধব। আপাতত আহমেদাবাদেই তাঁরা কাজ করছেন। সেখানেই তৈরি হচ্ছে এই ন্যাপকিন। জানালেন, এই প্যাড বানিয়ে কিছু মেয়ের যেমন আয়ের পথ খুলবে, তেমনই উপকৃত হবেন কলাচাষিরা।






জানা গিয়েছে, প্রথম ঝাড়খণ্ডকেই বেছে নিয়েছে 'সাথী'। ভারতের বৃহত্তম এডুকেশনাল এনজিও 'একাল বিদ্যালয়া'র সঙ্গে তারা কাজ করছে। ২০১৭ থেকে সারা দেশে পাওয়া যাবে এই বানানা ন্যাপকিন।






সূত্র: এই সময়






(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এসআই)