পাকিস্তানকে ঘায়েল করতে সিন্ধুর পানি ব্যবহারের চিন্তা ভারতের
ঢাকাটাইমস ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১১:১০:২৩

কাশ্মীরে সেনা ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে যখন উত্তেজনা চরমে, সেই মুহূর্তে পাকিস্তানের সঙ্গে করা ৫৬ বছরের পানি চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের কথা ভাবছে ভারত। সিন্ধু নদের পানি নিয়ে করা ওই চুক্তি পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার মন্ত্রীদের সঙ্গে আজ বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছে দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক ইন্ডিয়া টুডে।
নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা মোদির এই বৈঠকের বিষয়ে নাম প্রকাশ করে নিশ্চিত করেননি।
কাশ্মীরের অশান্ত পরিবেশ ও সম্প্রতি উরি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যকার ৫৬ বছরের এই পুরনো চুক্তির বিষয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে মোদি সরকার। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সিন্ধুর পানি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘যেকোনো চুক্তি চালু রাখার জন্য পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতা থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা কোনো একমুখী প্রেম নয়।’
পরের দিন শুক্রবার পাকিস্তানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রী খাজা আসিফ জানান, সিন্ধু নদের পানি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি পর্যালোচনা করতে নয়াদিল্লির প্রতি আহ্বান জানাতে পারে ইসলামাবাদ।
দক্ষিণ এশিয়ার চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান সিন্ধু নদের পানির বিষয়ে পরস্পরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ১৯৬০ সালে। তবে সম্প্রতি পাকিস্তান অভিযোগ তুলেছে, বাঁধ দিয়ে পাকিস্তানে পানির প্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত।
সিন্ধু নদের উৎসমুখ ভারতে। পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তা মিশেছে আরব সাগরে। ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদের পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি সই হয়। ওই চুক্তি অনুসারে সিন্ধু নদের শাখা শতদ্রু, বিপাশা ও ইরাবতি নদী পড়ে ভারতে। আর সিন্ধু, চিনাব ও ঝিলম পড়ে পাকিস্তানে।
চুক্তি অনুযায়ী ভারত সিন্ধু নদের মাত্র ২০ শতাংশ ব্যবহার করে। আর যদি নদের পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দেয় ভারত তবে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যাবে পাকিস্তান। দেশটি সেচ থেকে শুরু করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য পাকিস্তান সিন্ধুর এসব শাখার ওপর নির্ভরশীল।
(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/জেডএ/ডব্লিউবি)