logo ০৫ জুলাই ২০২৫
জীবন দিয়ে প্রমাণ করলেন ভালোবাসা কী
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
০৩ নভেম্বর, ২০১৩ ১৮:৪৯:২০
image


ঢাকা: ১৫ বছরের বিবাহিত জীবনে তারা কখনো একে অন্যকে ছেড়ে রাত কাটান নি। সংসার জীবনের প্রতিটি মূহূর্ত তারা উপভোগ করেছেন, শেয়ার করেছেন। হঠাৎ তার সংসার জীবনে বড় ধরণের একটি ঝড় বয়ে এলো, সে ঝড়ে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। অসুস্থতাজনিত মৃত্যু নামক এই ঝড়ে সব শেষ।





সম্রাট শাহজাহান স্ত্রীর জন্য তাজমহল তৈরি করেছিলেন এটা সত্যি। ২০ হাজার শ্রমিক ২২ বছর ধরে নির্মাণ করেছিলেন পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের একটি, তাজমহল। এই তাজমহলের কারণেও বিশ্ববাসীর সামনে ভারত একটি পরিচিত দেশ।





কিন্তু সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রীকে গভীরভাবে ভালোবাসলেও তার জন্য জীবন দিতে পারেন নি যা করে দেখিয়েছেন এক ব্রিটিশ পুরুষ। হ্যাঁ, পাঠক মানুষ সবচেয়ে ভালোবাসে নিজেকে কথাটির প্রমাণ আমরা পেয়েছি সম্রাট বাবরের কাছ থেকে যখন তিনি সন্তান হুমায়ূনের জন্য নিজের জীবন পর্যন্ত বিসর্জন দিয়েছেন। বাবা সন্তানের জন্য এমন ত্যাগ করতেই পারেন। কিন্তু প্রিয়তমা স্ত্রীর জন্য নিজের জীবন নিজেই কেড়ে নিয়েছেন এক ব্যক্তি।





কেন এবং কীভাবে ? আাসুন জেনে নেই





ইংল্যান্ডের নাগরিক ৪৫ বছর বয়সী অ্যাদ্রিয়ান ক্রস আজ থেকে ১৫ বছর আগে বিয়ে বিয়ে করেছিলেন ৩৭ বছর বয়সী ট্যামিকে। বিয়ের পর বাবার বেশ বড় পরিবার ছেড়ে আদ্রিয়ানের সঙ্গে সংসার গড়েছিলেন ট্যামি। বড় পরিবার ছাড়ার কষ্ট বোধ হয় বুঝেছিলেন আদ্রিয়ান তাইতো ট্যামিকে কখনো দুঃখ দেন নি বরং পরম মমতায় আগলে রেখেছেন। নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতেন শ্বশুরবাড়ির যাতে ট্যামি খুশি হয়।





এত সুখ বুঝি সহ্য হল না বিধাতার, তাইতো ট্যামির ফুসফুসে দেখা দিল কঠিন অসুখ। বিচলিত হয়ে উঠলেন আদ্রিয়ান। প্রিয়তমাকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালের সর্বোত্তম চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করলেন। টানা নয়মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছেন ট্যামি। কিন্তু গত আট অক্টোবর জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন তিনি। স্ত্রীর মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারেন নি আদ্রিয়ান। তার ভাবনা ছিল কিভাবে ট্যামিকে ছেড়ে রাত পার করবেন তিনি। ট্যামিকে ছেড়ে একদিনের জন্য বাঁচা সম্ভব নয় বুঝে তার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরই নিজ বাসার সামনে আত্মহত্যা করেন আদ্রিয়ান। বাসার সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে।





ট্যামির বাবা ৬৫ বছর বয়স্ক ডেভিড জোনস বলেন, ‘স্ত্রীকে এভাবে ভালোবাসতে পারে এমন পুরুষ আমি দেখিনি কখনো। তারা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দম্পতিদের মধ্যে একটি। আদ্রিয়ান শুধু ট্যামি নয় আমাদের প্রতিও ছিল আন্তরিক। আমরা ট্যামিকে ডাকতাম অ্যাঞ্জেল(দেবি) বলে। এমন মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না।’





আদ্রিয়ানের বোন ৫৭ বছর বয়সী জুভন টর্নলি বলেন, ‘তারা একজনের জন্য অন্যজন ছিল নিবেদিত প্রাণ। এমন জুটি আমি জীবনে কমই দেখেছি। আমাদের খুব খারাপ লাগছে।’





গত ২১ অক্টোবর এ জুটির অন্তোষ্টক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এখানে প্রায় ১০০০ পরিবার অংশ নেয়। জনপ্রিয় এ জুটিকে নিয়ে এদিন স্মৃতিচারণ করেন অনেকেই।





(ঢাকাটাইমস/১নভেম্বর/এসএ্/এআর/ ঘ)