logo ০৫ মে ২০২৫
হরতাল-অবরোধ থাকবে ছুটির দিনেও
মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস
২৯ নভেম্বর, ২০১৩ ০১:০৮:২৭
image

ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের দাবিতে তিনদিন রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের অংশগ্রহণে সন্তুষ্ট বিএনপি-জামায়াত জোট। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে আরও কঠোরভাবে কর্মসূচি পালনের কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে জোট। 


দাবি আদায়ে সামনের দিনগুলোতে হরতাল, অবরোধ ও ঘেরাওয়ের সমন্বয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৮ দল। এখন পর্যন্ত কর্মসূচিতে শুক্র এবং শনিবারকে ছাড় দেয়া হলেও সামনের দিনগুলোতে ছুটির দিনও কর্মসূচি থাকবে। ১৮ দলের নেতারা বলছেন, রাজধানীতে পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে বাজার ব্যবস্থা ভেঙে দিতে চান তারা। আর এটা করতে পারলেই সরকার নতি স্বীকার করতে বাধ্য হবে বলে মনে করেন তারা।


গত মঙ্গল থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত অবরোধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা করেছে ১৮ দলের কর্মীরা। রেলের ওপর নজিরবিহীন হামলায় সারাদেশে ট্রেন চলাচল হয়ে উঠে ঝুঁকিপূর্ণ। বিভিন্ন এলাকায় রেল লাইন তুলে ফেলায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এসব কাজের জন্য ব্যাপক সমালোচনা হলেও ১৮ দলের নেতারা মনে করেন, তাদের কর্মীরা ঠিক কাজটিই করছেন। জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে সারাদেশে সন্ত্রাসের দায় স্বীকার করেছে।


বিরোধী জোটের নেতারা বলছেন, এতদিন সরকার প্রচার চালিয়েছে যে বিএনপি-জামায়াত জোট আন্দোলন করতে পারবে না। কিন্তু অবরোধে ব্যাপক সহিংসতার পর এই ধারণা ভেঙে গেছে বলেই মনে করেন নেতারা। আগামীতে আরও জোরাল কর্মসূচি পালন করে সরকারকে মোকাবেলার প্রস্তুতি চলছে ১৮ দলে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘সরকারকে বার বার সংলাপের কথা বললেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। জনগণ এখন আর সরকারকে সময় দেবে না। তারা প্রতিরোধ করবে। আন্দোলনে নতুন নতুন কর্মসূচি যোগ হবে। প্রয়োজনে লাগাতার অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে’।


সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহ থেকে ১৮ দলের পক্ষ থেকে অবরোধ-হরতাল ও ঘেরাওয়ের একটি সিরিজ কর্মসূচি আসছে।


বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, সংলাপ ইস্যুতে একতরফা প্রচার চালিয়েছে সরকার। ২৩ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ ও মির্জা আলমগীরের সাক্ষাৎ ঘটেছিল। সেখানে প্রাথমিক কিছু কথাবার্তাও হয়। কিন্তু সেটাকে বৈঠক হিসেবে প্রচার করে বিরোধী দলকে বেকায়দায় ফেলতে চেয়েছে সরকার। সংলাপ নিয়ে প্রচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিতে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে চূড়ান্ত সংশয়ে বিরোধী দল। সার্বিক পরিস্থিতিতে সংলাপের মাধ্যমে সঙ্কট উত্তরণের কোন সম্ভাবনা দেখছে না বিরোধী নেতারা। তাই আন্দোলনেই দাবি আদায় করবে ১৮ দল।


(ঢাকাটাইমস/২৯নভেম্বর/এমএম/এসআর/ঘ.)