logo ০৬ মে ২০২৫
টাঙ্গাইল-৪ আসন
মনোনয়নের লড়াইয়ে এগিয়ে আবু নাসের
হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ঢাকাটাইমস
১৯ নভেম্বর, ২০১৩ ১৯:৩৫:৪১
image


ঢাকা: টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের । ১৯৮০ সালের দিকে ছাত্ররাজনীতিতে আসা এই নেতা নিজ এলাকাতে বেশ জনপ্রিয় বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রায়াত্ব জনতা ব্যাংকের পরিচালক আবু নাসের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও সার্ক চেম্বারের সদস্য। ১৯৮৫ সালে ইব্রাহিম খাঁ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের রাজনীতিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গত ৩২ বছর ধরে জড়িত আছেন। যে কারণে, টাঙ্গাইল-৪ আসনের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আগামীতে আবু নাসেরকে প্রার্থী হিসেবে চান। ওই আসনের বর্তমান সাংসদ ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর চেয়ে তাঁর জনপ্রিয়তা বেশি থাকায় তিনি মনোনয়নের লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিজ এলাকার দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনেও কাজ করে যাচ্ছেন আবু নাসের । অভাবের তাড়নায় ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ অর্থায়নে পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। এছাড়া নিজ এলাকার গোহাইলাবাড়ি ও দুর্গাপুর ইউনিয়নে ৭১টি স্কুল ও কলেজে কম্পিউটার দিয়েছেন। নিজের অর্থায়নে তিনটি স্কুলের ভবনও নির্মাণ করে দিয়েছেন।   

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত পাঁচ বছরে স্থানীয় সাংসদ ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে খুব কমই যোগাযোগ রেখেছেন। নিজের অনুসারী-অনুগামী শ্রেণির নেতাকর্মীদের নিয়েই ছিল তার রাজনীতি। এলাকায় দৃশ্যমান কোনো উন্নয়নও করতে পারেননি তিনি। এসব বিবেচনায় আগামীতে ফল ভাল হবে না জেনে সংসদে দাঁড়িয়ে আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন । কিন্তু নির্দলীয় সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এমন পরিস্থিতিতে মত পাল্টান লতিফ সিদ্দিকী। নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়ে ইতিমধ্যেই আবেদনও করেছেন তিনি। তবে কালিহাতি আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীই মনে করেন, নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকী মনোনয়ন পেলে আসনটিতে নৌকা মার্কার ঝুঁকি থেকে যাবে।

অন্যদিকে নির্বাচন নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা একাধিক প্রতিবেদন ও তৃণমূল নেতাদের মতামতে এগিয়ে আছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আবু নাসের। এলাকার সাধারণ জনগণ তাঁর সঙ্গে আছেন এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক প্রতিবেদনে। নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরেসোরে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এ কেন্দ্রীয় নেতা।    

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ১৯৮৭ সালে ছাত্রলীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন আবু নাসের। পরে ৯১ সালে ছাত্রজীবন শেষ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন তিনি । সে সময় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপপরিষদের সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন আবু নাসের। এছাড়া দলের প্রচার-প্রচারণা সেলের সদস্যও তিনি। বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদের সহ-সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।

জানতে চাইলে আবু নাসের ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘গত নির্বাচনেও দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু সেবার দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। কিন্তু তারপরও দলের সিদ্ধান্ত মেনে নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করেছি। এবারও এলাকার মানুষ আমাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে। তাদের অনুরোধে এবারও আমি মনোনয়ন চেয়েছি । তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জন্যই রাজনীতি করি । মানুষের সেবা করেই আগামী দিনগুলো কাটিয়ে দিতে চাই । তাই দল আমাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবো বলে আশা করি। তবে মনোনয়ন না পেলেও নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছুই করবো না।’  

(ঢাকাটাইমস/ ১৯ নভেম্বর/এইচএফ/এআর)