logo ০৬ মে ২০২৫
একজন ভাগ্যবান খোকা
হাবিবুল্লাহ ফাহাদ, ঢাকাটাইমস
১০ নভেম্বর, ২০১৩ ১২:১১:৩৩
image


ঢাকা: মহাজোট সরকারের গত প্রায় পাঁচ বছরে বিএনপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই বিভিন্ন সময় মামলার আসামি হয়েছেন। গ্রেপ্তার হয়েছেন। থেকেছেন কারাগারেও। এখনও চলছে ধরপাকড়।কিন্তু এত কিছুর পরও একবারের জন্যও কারাগারে যেতে হয়নি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাকে।



সেনাসমর্থিত বহুল আলোচিত মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের আমলেও তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ওই সময় প্রধান দুই দলের বেশিরভাগ নেতা জেলে গেলেও বিএনপির এই নেতাকে একদিনের জন্যও জেলে যেতে হয়নি। এ নিয়ে বাজারে অনেক কথা চালু রয়েছে।গত ১১ মার্চ বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ প্রথম সারির বেশ কয়েকজন নেতাকে  গ্রেপ্তার করা হয়।ওই দিন রাতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক মন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকাও আটক হয়েছিলেন।



কিন্তু পরদিন সকালেই মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে বিএনপির ভাগ্যবান নেতা বলা চলে সাদেক হোসেন খোকাকে। ২৫ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে দলের নেতাকর্মীদের দা-কুড়াল নিয়ে প্রস্তুত থাকার কথা বলে নিজে বিপাকে পড়েন এবং দলকেও বিপাকে ফেলেন বিএনপির এই নেতা।ফটিকছড়ি ইস্যুতেও তার বিতর্কিত বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছিল। সর্বশেষ দা-কুড়াল নিয়ে বক্তব্য দেয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশও একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে এখানে-সেখানে।

কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে পায়নি! আত্মগোপনে থেকেই গুলশানের আজাদ মসজিদের ঈদুল আজহার নামাজও পড়েছেন তিনি! পশু কোরবানি করেছেন! পরে অবশ্য ২৫ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি চেয়ারপারসনের সমাবেশ মঞ্চে সরব দেখা যায় তাকে।সমাবেশে তিনি সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। আত্মগোপনে থাকা এই নেতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল সমাবেশে হঠাৎ হাজির হয়ে সংবিধানকে তেজপাতার সঙ্গে তুলনা করে জ্বালাময়ী বক্তব্যও দেন।



তবে এর পর আর কোনো দলীয় কর্মসূচিতে তাকে দেখা না গেলেও গত ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে তার সরব উপস্থিতি দেখা যায়। এর পর হঠাৎ আবারও আত্মগোপনে চলে যান খোকা।শুক্রবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল ডাকার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির কমিটির সদস্য মওদুদ আহমেদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল আউয়াল মিন্টু এবং ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে গেপ্তার করা হয়। এর পর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই আত্মগোপনে আছেন।মুঠোফোন নম্বর বন্ধ করে দিয়েছেন অধিকাংশ নেতা। যাদের ফোন খোলা আছে তাঁরও কল ধরছেন না।



কিন্তু এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন সাদেক হোসেন খোকা।শুক্রবার রাতে বিএনপির পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনটি পুলিশ ঘিরে ফেলে। কিন্তু এত নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যেও সাদেক হোসেন খোকা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে শুক্রবার রাতে দেখা করেছেন বলে দলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন। এসময় তিনি চেয়ারপারসনের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে।  



(ঢাকাটাইমস/১০নভেম্বর/এইচএফ/এআর/ ঘ.)