logo ০৬ মে ২০২৫
একরাম চৌধুরীকে দুই আসনেই চান নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৬ নভেম্বর, ২০১৩ ১৫:৪১:২০
image

ঢাকা: নোয়াখালী আওয়ামী লীগের ত্রাতা বলা হয় তাঁকে। নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি। আগামী নির্বাচনেও ওই আসন থেকে আওয়ামী লীগে তাঁর বিকল্প নেই বলে মনে দলের নেতাকর্মীরা। তবে এবার যুক্ত হয়েছে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে চান তারাও। তাই হাতিয়ার জনগণ তাঁর পক্ষে আওয়ামী লীগ থেকে নয়টি মনোনয়নের আবেদনপত্র কিনে জমা দিয়েছেন। অন্যদিকে সদর আসনের জনগণ জমা দিয়েছেন ছয়টি আবেদনপত্র। সবমিলিয়ে দুই আসনে সাংসদ একরাম চৌধুরীর পক্ষে মনোনয়ন চেয়ে জমা পড়েছে ১৫টি আবেদনপত্র।    


হাতিয়া বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। গত নির্বাচনে ওই আসন থেকে মোহাম্মদ আলীকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু ঋণ খেলাপির অভিযোগে মোহাম্মদ আলীর মনোনয়ন বাতিল হলে তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। অপর দিকে সংস্কারবাদীর তকমা লাগায় বিএনপি নেতা ফজলুল আজিমও দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হন । তিনিও স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে আয়েশা সিদ্দিকা পরাজিত হন। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ আলী । স্থানীয় সূত্র ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে  জানায়, হাতিয়ার বিশাল ডাকাত বাহিনীর সর্দারদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন মোহাম্মদ আলী। গ্রেপ্তারের পর একাধিক ডাকাত দলের সর্দার পুলিশের কাছে এর সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।


এছাড়া ডাকাত বাহিনীর যোগসাজসে হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ ও তাঁর পরিবারের ওপর চালানো হয় অকথ্য অত্যাচার নির্যাতন । অথচ অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহ ওই আসন থেকে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সাংসদ হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। কিন্তু মোহাম্মদ আলীর পৃষ্ঠপোষকতায় ডাকাত বাহিনীর উৎপাতে রীতিমত ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হাতিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনগণের। এসব কারণে নেতাকর্মীরা মোহাম্মদ আলীর প্রতি চরম নাখোশ বলে জানা গেছে। 


দলীয় সূত্র জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নোয়াখালীর তৃণমূল নেতাদের মতবিনিময়ে এসব বিষয় তুলে ধরেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। অধ্যাপক ওয়ালিউল্লাহও দলের সভানেত্রীকে এসব বিষয় খুলে বলেছেন। তাঁর ও তাঁর পরিবারের ওপর মোহাম্মদ আলী ও তার বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রায় কেঁদে ফেলেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও জানান, তারা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে নেই। তাই আগামী নির্বাচনে ওই আসন থেকে তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে একরামুল করিম চৌধুরীকে দেখতে চান।       


সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় নিজের নির্বাচনী এলাকা সদর-সুবর্ণচর ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখেন। তাছাড়া দল ও দলের নেতাকর্মীদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে গোটা নোয়াখালীতেই তাঁর ব্যাপক সুনাম রয়েছে। সম্প্রতি হাতিয়ার জনগণ সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর বাড়ি ঘেরাও করে। এসময় তারা আগামী নির্বাচনে সাংসদ একরাম চৌধুরীকে হাতিয়া থেকে প্রার্থী হওয়া দাবি জানান।


সূত্র জানায়, বর্তমান সংসদীয় এলাকা নোয়াখালী সদর ছাড়াও আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে হাতিয়াতেও সময় দিচ্ছেন সাংসদ একরাম চৌধুরী। ওই এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি।


এব্যাপারে জানতে চাইলে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘জনগণের জন্য রাজনীতি করছি। সব সময়ই জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করি। মানুষও আমাকে খুব ভালবাসে। তাই দল আমাকে যেখান থেকেই মনোনয়ন দেবে, আমি সেখান থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’


(ঢাকাটাইমস/ ১৬ নভেম্বর/ এইচএফ/ ১৫.০২ঘ.)