logo ০৬ মে ২০২৫
অর্থপাচার মামলা
দুই বছর সাজা হলে নির্বাচনে অযোগ্য তারেক রহমান
মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস
১৬ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:১৫:৫৬
image

ঢাকা: অর্থপাচার মামলায় দুই বছরের সাজা হলেই আগামী দুই নির্বাচনে অংশ নেয়ার যোগ্যতা হারাবেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর এই মামলার রায় ঘোষণার কথা আছে। আইন অনুযায়ী দোষী প্রমাণ হলে তারেকের সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে।


অর্থপাচারের আরেক মামলায় তারেক রহমানের ছোটো ভাই আরাফাত রহমান কোকোর ছয় বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল ২০১১ সালের জুনে। এরপর সিঙ্গাপুর থেকে কোকোর পাচার করা বিশ কোটি টাকারও বেশি দুই দফায় ফিরিয়ে এনেছে দুদক। 


সংবিধানের ৬৬ ধারার (১) দফায় (ঘ) উপদফায় বলা হয়েছে, কেউ নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারী অপরাধে কারও দুই বছরের সাজা হলে তিনি মুক্তি লাভের পাঁচ বছর পর্যন্ত নির্বাচনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।


দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন জানান, অর্থ পাচার মামলায় দণ্ডিত হলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান আছে। সপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী জানান, এই মামলায় তারেক রহমানের এই বছরের কারাদণ্ড দলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।


তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি টঙ্গীতে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ পাইয়ে দিতে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা ঘুষ নেন। সিঙ্গাপুরে একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন হয়। ওই অবৈধ টাকার কিছু অংশ তারেক রহমান ভিসা কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন। এই কাজে তারেক রহমানের সহযোগী ছিলেন তাঁর বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন।


২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এই দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার এই মামলায় যুক্তিতর্ক শেষ হয়।


দুদক আশা করছে এই মামলায় তারা তারেক রহমান ও গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ‍বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পেরেছে।


জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল অবশ্য এ বিষয়ে তেমন কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য আদালতে দিয়েছি। এখন এটি আদালতের বিষয়’।


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ অবশ্য আশঙ্কা করছেন এই মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দেবে আদালত। শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমোনের মামলার রায়ে কীেআছে তা থাকতে পারে, তা জানা আছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক রায় দেশের মানুষ মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন হান্নান শাহ্।


প্রসঙ্গত, তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। চিকিৎসার জন্য ২০০৮ সালে তিনি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই দেশে যান। পরে তাঁর জামিন বাতিল করে এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়। তিনি না আসায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে পলাতক ঘোষিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাঁর পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিল না। তবে গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের আইনজীবীরাই তারেক রহমানের হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন।


(ঢাকাটাইমস/১৫নভেম্বর/এমএম/এসআর/২২.০০ঘ.)