logo ০৬ মে ২০২৫
তফসিল ঘোষণার আগে কর্মীদের আন্দোলন নিয়ে বিপাকে ইসি
বিলকিছ ইরানী, ঢাকাটাইমস
২১ নভেম্বর, ২০১৩ ১০:২৭:৫২
image


ঢাকা: আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আগে দাবি আদায়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান না হওয়ায় তারা কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে নির্বাচন কমিশন তাদের এই আন্দোলনকে পাত্তা দিচ্ছে না। দুই পক্ষের এই অবস্থানের কারণে নির্বাচনের প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হয় কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে কমিশনে।  

পদোন্নতি, বেতন ও মর্যাদা বাড়ানোসহ নানা দাবিতে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে  ইলেকশন কমিশন সার্ভিসেস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। নইলে পরের দুইদিন কালো ব্যাজ ধারণের ঘোষণা দিয়েছে তারা। তবু সুরাহা না হলে ১ ডিসেম্বর কমিশন সচিবালয়ে অবস্থান কর্মসুচি পালন করবে অ্যাসোসিয়েশন। এরপরও দাবি আদায় না হলে ধর্মঘটে যাওয়ার কথাও ভাবছে কমিশনের কর্মকর্তারা।

আগামী সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ। এই অবস্থায় কমিশনের কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছে ইসি। বিব্রত বোধ করছে আন্দোলনকারীরাও।

নির্বাচনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন আন্দোলনে যাচ্ছেন জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সার্ভিসেস অফিসার্স এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে একই পদে কাজ করছেন অনেকে। পদোন্নতির জন্য বার বার কর্তৃপক্ষকে জানানো এবং কমিশন সভায় অনুরোধ করা সত্যেও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না।

অ্যাসোসিয়েশনের একজন নেতা বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। হাতে সময় কম। এ দিকে আমাদের দাবিও বাস্তবায়ন করতে হবে। সব মিলিয়ে আমরা বিবব্রতকর অবস্থায় আছি। কিন্তু কিছু করার নাই। তাই শুক্রবার প্রায় সারে তিন ঘন্টা বৈঠক করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এ ব্যপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমরা এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যাস্ত। নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। তারা তাদের কাজ করবে। তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলো আপাতত দেখার সময় আমাদের হাতে নেই।’

২০০৮ সাল থেকে ইসির কর্মকর্তারাই রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে। এছাড়া অনেক কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত। বর্তমানে ইসি সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ের সাত শতাধিক কর্মকর্তা রয়েছে। এরমধ্যে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের অনেককে সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া সম্ভব বলে জানান এক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর অ্যাসোসিয়েসনের কার্যকরি কমিটির সভায় আন্দোলনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইসির যুগ্মসচিব জেসমিন টুলীর সভাপতিত্বে সংগঠনটির ২৫ জন কর্মকর্তা সভায় অংশ নেন।

এর আগে গত ১৮ মে, ১৭ জুলাই, ৩১ আগস্ট তাদেও দাবি জানানো হয়। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর আবার দাবি জানিয়ে ২৯ সেপ্টম্বরের মধ্যে কার্যকরের দাবি জানানো হয়। এরপর নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিবের মৌখিক আশ্বাসে কর্মকর্তারা আন্দোলন খেকে বিরত থাকে। কিন্তু সে আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবার আন্দোলনে নামার হুমকি দেয়।

তবে তাদের দাবির মধ্যে ১১০টি উপজেলা নির্বাচন অফিসারের পদকে উন্নীত করা এবং ৪৫টি জেলায় জিপ দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। বাকি দাবি এই অল্প সময়ের মধ্যে মেটানো কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন একজন কমিশনার।

(ঢাকাটাইমস/ ২১নভেম্বর/ বিআই/এসআর/ঘ.)