logo ৩০ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপিকে মোকাবেলায় প্রস্তুত আ.লীগ
তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস
২৬ জুলাই, ২০১৪ ১৬:৫০:৫৭
image

ঢাকা: ঈদের পর বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে কয়েক মাস ধরেই। বিএনপির এই আন্দোলন মোকাবেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলীয় কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিকভাবে বিরোধীজোটের মোকাবেলায় মাঠে থাকার পরিকল্পনা নিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগের পরিকল্পনা- আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়েই বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করা হবে।


বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের পর সরকার পতনের আন্দোলনে নামবে বিএনপি। তৃণমূলশক্তি নিয়ে খোদ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মাঠে নামবে ২০ দলীয় জোট।  


জানা গেছে, বিএনপির আন্দোলনের হুমকিকে মোটেও আমলেই নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ । দলটির শীর্ষ নেতারা জানান, মেয়াদ পূর্তির এক দিন আগেও ক্ষমতা ছাড়বে না সরকার। কারণ সংবিধানসম্মত উপায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠিত হয়েছে।


সরকারের নীতি-নির্ধারক মহল মনে করেন, বর্তমান সরকারের অধীনে দেশ উন্নতির পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২০ সালের আগেই বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ভুল করেছে। তাই পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের জন্য ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে।


ঈদের পর বিএনপি আন্দোলনে নামবে বলে যে ঘোষণা দিয়েছে, এ ব্যাপারে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মাঠে নামুক না। মাঠে আওয়ামী লীগ আছে, মানুষ আছে। মাঠের খেলা মাঠেই হবে। ফুটবল মাঠে কে কয়টা গোল দেয়, সেটা সেখানেই দেখা যাবে।


বিএনপির আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা দেবে কি না, এমন প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, আপনি কি চান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাস পোড়াতে, মানুষ মারতে সহায়তা করবে? আমি রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে জনগণের সাথে থাকব। মানুষকে রক্ষা করতে হবে।


আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম অতি সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না। অতীতে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল। ২০০১ সালের বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তারা ক্ষমতা ছাড়েনি। এখনও নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সফল হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। কোন ছাড় দেয়া হবে না।


ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বললেন ভিন্ন সুরে। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনের হুমকি ফাঁকা আওয়াজ। এই হুমকি আমরা কিছুই মনে করি না। তিনি বলেন, আন্দোলনের হুমকিকে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না। বিএনপির আন্দোলন দেখার জন্য আমরা প্রস্তুত।


সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে সরকারের বাধা দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে ২০১৩ সালের মত নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করলে অবস্থা খারাপ হবে। এবার জনগণই তাদের শায়েস্তা করবে।


আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকাটাইমসকে বলেন, বিএনপির আন্দোলন করবে এটা তাদের নেতারাই বিশ্বাস করে না। বিএনপির কোন ধরণের আন্দোলন করবে সেটাই তারা জানে না। তাদের এক নেতা লন্ডনে বসে এক ধরণের আন্দোলনের কথা বলেন। আরেকজন দেশে বসে এক ধরণের আন্দোলনের কথা বলেন।


তিনি বলেন, একবার আন্দোলন করে তারা ব্যর্থ হয়েছে। এখন আবার আন্দোলন করে তারা গর্তে ঢুকে যাবে। সেখান থেকে আর বের হতে পারবে না।


আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের প্রতিহত করবে। এছাড়া রাজনৈতিকভাবে সবকিছু মোকাবেলা করতে মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ।


(ঢাকাটাইমস/ ২৬জুলাই/ টিএ/এএসএ)